ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখছে অসম সরকার। আজ মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এই দাবি করেন।
বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, অসম সরকার প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বা ব্যবহারিক শংসাপত্র (বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর হওয়া টাকা ও তার খরচের প্রামাণ্য হিসেব) জমা না দেওয়ায় কেন্দ্রের অর্থ সাহায্য পাচ্ছে না। সিএজি রিপোর্টেও বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহারিক শংসাপত্র দাখিল না করার কথা উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের গাফিলতির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। গগৈ দাবি করেন, বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চলছে। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্র থেকে অর্থ আসা ও প্রকল্পে খরচ হওয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তাই কোনও সময়ই সব শংসাপত্র জমা পড়ে না। এটিই স্বাভাবিক নিয়ম। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে শংসাপত্র পাঠায়। ২০১৫ সালের মার্চে এজি-র সঙ্গে বৈঠকে দেখা গিয়েছে, রাজ্য ৫ হাজার ৪২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার শংসাপত্র জমা দিয়েছে। বাকি শংসাপত্রও কয়েক মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। স্কুল, কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, উন্নয়ন পরিষদ, সড়ক, সেচ বা বন্যা নিয়ন্ত্রণের মতো বেশ কিছু প্রকল্প রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে চলে।
গগৈ বলেন, ‘‘আগের অর্থবর্ষের শংসাপত্র জমা না পড়ায় পরের অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করার নিয়ম নেই। যে ১২টি কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়েছে সেগুলি শুধু অসম নয়, ২৯টি রাজ্যেই বন্ধ করা হয়েছে।’’ শংসাপত্র জমা দেওয়ায় দেরি হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দেয়নি বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল গগৈয়ের সমালোচনা করেছিলেন। গগৈ তার জবাবে জানান, তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব রাজ্যের সব বিভাগের প্রধানকে দ্রুত সব শংসাপত্র জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরই ৫ হাজার ৪২ কোটি টাকার শংসাপত্র জমা পড়ে। গগৈ সব বিভাগকে নিয়ম করে বছরে চার বার এজির সঙ্গে বসে শংসাপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি স্বচ্ছ করে নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন।