সবে গত মাসেই শিলচরে পুরবোর্ড গড়েছে বিজেপি। তার ক’মাস আগে শিলচর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সেই কারণেই নাকি শিলচরের মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার চক্রান্ত করছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। তাঁদের অভিযোগ, বেহাল রাস্তার সংস্কার হচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের দেখা মেলে না। পানীয় জলও নিয়মিত নয়। এই সব অভিযোগ এনে বিজেপির শিলচর শহর কমিটি আজ জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করল।
কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রে অতিরিক্ত জেলাশাসকও জড়িত বলে শিলচর বিজেপি নেতৃত্ব জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজরিকার কাছে অভিযোগ করলেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক এস এন সিংহের নাম উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘‘নির্বাচিত বোর্ড না থাকার সময় তাঁকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে অনিয়ম ও আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। নির্বাচিত বোর্ড কাজ করছে, এর পরও অতিরিক্ত জেলাশাসক অহেতুক নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন।’’ বিজেপি নেতৃত্ব ওই পদ থেকে তাঁর অপসারণ চান।
রাস্তা, বিদ্যুত্ ও পানীয় জলের দাবিতে বিজেপি-কর্মীরা জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, বিধায়ক দিলীপকুমার পাল, পুরপ্রধান নীহার ঠাকুর, জেলা সভাপতি কৌশিক রাই, রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক রা জদীপ রায়, শহর কমিটির সভাপতি দীপায়ন চক্রবর্তী-সহ সব নেতারাই ধর্নায় সামিল হন।
স্মারকপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেন: লোডশেডিং রোজের সমস্যা। যতটা সময় বিদ্যুত্ থাকে, তার থেকে বেশি সময় থাকে না। আর বিদ্যুত্ সংকটের ফলে পানীয় জল সরবরাহেও বিঘ্ন হচ্ছে। নতুন জল প্রকল্পের শিলান্যাস হলেও এখনও তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। তাঁদের দাবি, দ্রুত সেই কাজ শুরু হোক। পুর এলাকার সমস্ত রাস্তা কংক্রিটের করার দাবিও তাঁরা জানান। জেলাশাসক বিজেপির অভিযোগ ও দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
শিলচরের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘পুরসভা অচল করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কংগ্রেস। এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় সাধারণ মানুষেরই হাতে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়াই একমাত্র সমাধান। তার আগে পর্যন্ত এই অত্যাচার সহ্য করে চলতে হবে।’’ বিধায়ক দিলীপ পাল অভিযোগ করেন, ‘‘শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটেছে। প্রশাসনিক উদাসীনতায় মদ-জুয়ার ঠেক বেড়েই চলেছে।’’