বরাকের সড়ক মেরামতে চিঠি গগৈয়ের

মঞ্জুর হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা এখনও রাজ্যের হাতে না পৌঁছনোয় বরাক উপত্যকার ‘জীবন-রেখা’ হিসেবে পরিচিত ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মেরামতির কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে— নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠানো চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০১
Share:

মঞ্জুর হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা এখনও রাজ্যের হাতে না পৌঁছনোয় বরাক উপত্যকার ‘জীবন-রেখা’ হিসেবে পরিচিত ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মেরামতির কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে— নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠানো চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

Advertisement

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, উত্তর অসমের জীবন-রেখা ও অরুণাচলপ্রদেশের সংযোগী ৫২ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থাও শোচনীয়। গগৈয়ের বক্তব্য, এক দিকে এনএইচআইডিসিএল সংস্থা অসমে জাতীয় সড়কগুলির মেরামতির কাজ করছে না। অন্য দিকে মিলছে না কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকাও। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গডকরীকে এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন গগৈ।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন— রাজ্যের পূর্ত দফতরের হাত থেকে জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে এনএইচআইডিসিএলকে। কিন্তু ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের নুমালিগড় থেকে ডিব্রুগড়, নগাঁও থেকে কলিয়াবর এবং শিলচরের ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ অসমের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তায় মেরামতির কাজই হয়নি। বৃষ্টিতে পাথর বের হয়ে রাস্তাগুলি অগম্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামছেন। দুর্ঘটনাও হচ্ছে।

Advertisement

গগৈ দাবি করেছেন— ওই সব সড়কে মেরামতির কাজ শুরু জন্য দ্রুত এনএইচআইডিসিএলকে নির্দেশ দেওয়া হোক। না হলে আগের মতো ওই দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দফতরের হাতেই তুলে দেওয়া হোক।

গগৈ আরও জানান, বরাকের জীবন-রেখা তথা ত্রিপুরা-মিজোরামের একমাত্র সংযোগকারী রাস্তা ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ২১৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই টাকা এখনও রাজ্যের হাতে পৌঁছয়নি। ব্রডগেজের কাজের জন্য রেলপথ বন্ধ থাকায় ওই রাস্তায় চাপ আরও বেড়েছে। কিন্তু মেরামতি ছাড়া এই জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, অসমের উত্তর ভাগে ৫২ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থাও শোচনীয়। অরুণাচল সংযোগকারী ওই সড়কে ব্যাপক ভূমিধসের জেরে যাতায়াত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গগৈয়ের বক্তব্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওই সড়ক মেরামতির জন্য ৫৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হলেও রাজ্যের হাতে তা আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন