ছবি: পিটিআই।
অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে টাটা গোষ্ঠী।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণও হয়। তাতে বহুতলটিই প্রায় সম্পূর্ণ ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাঁচ জন চিকিৎসকেরও মৃত্যু হয়েছে। ওই হস্টেলটি পুনর্নির্মাণে টাটা গোষ্ঠী সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রশেখরণ।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘‘যা ঘটেছে, তার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। যে সব পরিবার তাদের কাছের মানুষদের হারাল, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের সকলের জন্য প্রার্থনা করছি।’’
গুজরাতে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। বিমানবন্দরের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানটি বাঁ দিকে হেলে পড়তে থাকে। একই সঙ্গে লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর এলাকা।
সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “অহমদাবাদের বিপর্যয়ে আমি মর্মাহত, দুঃখিত। এই বেদনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য প্রার্থনা করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রয়েছেন মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল লেখেন, “অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। আমি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের চিকিৎসা করারও নির্দেশ দিয়েছি।” গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রিন করিডর করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।