National News

দিল্লির থানায় উদ্ধার কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ

মৃতের পরিবারের দাবি, শনিবার রাতে বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। তাঁর খোঁজে হ্যাপি সিংহের বাড়ি গিয়েও খোঁজখবর করেন তাঁরা। তবে উল্টে তাঁদের উপরেই চড়াও হয় হ্যাপির পরিবারের লোকজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ১৮:২০
Share:

থানা থেকে উদ্ধার হল কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। প্রতীকী ছবি।

থানার ভিতরে একটি ঘর থেকে উদ্ধার হলকিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। অভিযোগ, আত্মহত্যা করেছে ওই মেয়েটি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির তিলক বিহার থানায়।

Advertisement

এ ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই প্রতিবেশী এক পরিবার তাঁকে অপহরণ করেছিল। তবে থানার এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, গভীর রাতে নিজেই থানায়এসেছিল ওই মেয়েটি। নিজের বাড়িতে ফিরতেও রাজি ছিল না সে। তবে এই চাপানউতোরে আসল ঘটনা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

তিলক নগরের বাসিন্দা বছর সতেরোর ওই মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার মায়ের দাবি, “মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল পাশের বাড়ির ছেলে হ্যাপি সিংহ। এ নিয়ে আমাদের উপর চাপও দিতে থাকে হ্যাপির পরিবার। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় সে প্রস্তাবে সায় দিইনি।” মৃতের পরিবারের আরও দাবি, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। তাঁর খোঁজে হ্যাপি সিংহের বাড়ি গিয়েও খোঁজখবর করেন তাঁরা। তবে উল্টে তাঁদের উপরেই চড়াও হয় হ্যাপির পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করেছিল হ্যাপি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও শুরু হয়। তা মেটাতে দুই পরিবারের লোকজনই হাজির হয় তিলক বিহার থানায়।

Advertisement

আরও পড়ুন
গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতীরা

ডিসিপি (ওয়েস্ট) বিজয় কুমারের দাবি, “রাত ২টো নাগাদ থানায় এসে মেয়েটি বলে, বাড়ি যেতে চায় না সে। সে সময় থানায় কোনও মহিলা পুলিশকর্মী না থাকায় আমরা তার বাড়িতে ফোন করি।থানায় এসেও ঝগড়া থামেনি দুই পরিবারের। এর পর পাশের ঘরে চলে যায় সে। সেখানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।”

আরও পড়ুন
দিল্লিতে আদালত চত্বরে ধর্ষিতা আইনজীবী

পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ মেয়েটির পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, থানায় একটি ঘরে তাঁদের তিন ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্য ঘরেঝুলন্ত অবস্থায় তাঁদের মেয়ের দেহ পাওয়া যায়।

গোটা ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তে শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন