বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে তেজস্বী যাদব (মাঝে)-এর নাম ঘোষণা করছেন শরিক দলের নেতা। বৃহস্পতিবার পটনায়। ছবি: পিটিআই।
বিহারে বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’ ক্ষমতায় এলে এক নয়, একাধিক ব্যক্তিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে। শুক্রবার এমনই জানালেন বিহারে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। তেজস্বী এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা না-করলেও মনে করা হচ্ছে শরিকদের তুষ্ট করতেই এই কৌশল নিচ্ছেন তেজস্বীরা। শুক্রবার বিহারের সহরসায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তেজস্বী বলেন, “আরও উপমুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাবে। কয়েক দিনের মধ্যেই আপনারা এই বিষয়ে জানতে পারবেন।”
বৃহস্পতিবার পটনায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তেজস্বীর নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই(এমএল), বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র মতো মহাগঠবন্ধনের শরিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভিআইপি প্রধান মুকেশ সাহানিকে। বিরোধী জোট সূত্রে খবর, সব শরিক দলকে সন্তুষ্ট করার পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় বিহারের সকল এলাকা এবং জনগোষ্ঠীর সমান প্রতিনিধিত্ব সুনির্দিষ্ট করতে চাইছে তারা। তাই জাতিগত অঙ্ক মাথায় রেখেই একাধিক উপমুখ্যমন্ত্রী মুখ তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শুক্রবারের নির্বাচনী সভা থেকে ফের বিহারি এবং বাহারি বিতর্ক উস্কে দেন তেজস্বী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাতে কারখানা তৈরি করে বিহারে (ভোটে) জিততে চাইছেন। কিন্তু এটা হবে না। আমরা বিহারি, আমরা বাহারি (বাইরের লোক)-দের ভয় পাই না।” বিহার বিহারিদের দ্বারাই পরিচালিত হবে বলে সুর চড়ান তেজস্বী।
বিহারে শাসকজোট এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নীতীশের নাম ঘোষণা না-করার জন্য খোঁচা দিয়েছিলেন তেজস্বী। শুক্রবার সমস্তিপুরের সভা থেকে মোদী কার্যত সেই বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে বলেন, ‘‘নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিধানসভা ভোটে জয়ের নতুন নজির গড়বে এনডিএ।’’ মাঝের কয়েক বছর বাদ দিলে প্রায় দু’দশক ধরে বিহারে ক্ষমতা ধরে রেখেছে এনডিএ। জোট বদলে বারে বারে নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মোদী শুক্রবার বিহারে আরজেডি আমলের ‘জঙ্গলরাজের অবসান’ এবং উন্নয়নের জন্য নীতীশকে কৃতিত্ব দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ বারের মেয়াদেও তাঁকেই পটনার কুর্সিতে চাইছে বিজেপি।