মহাভোজ: মকরসংক্রান্তিতে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ‘দহিচূড়া’য় বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতারা। লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে খাইয়ে দিচ্ছেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা। বৃহস্পতিবার। পিটিআই
গত দু’দিনে মায়াবতী বুয়া আর অখিলেশ ভাইয়ার সঙ্গে সর্বভারতীয় জোট আলোচনা সেরে এসেছেন। আজ মকর সংক্রান্তির দিন বিহার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর, সদাকত আশ্রমে গিয়ে ‘দহিচূড়া’ কূটনীতির মাধ্যমে রাজ্যের মহাজোট রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। কংগ্রেস দফতরে সদলবলে হাজির হয়ে তেজস্বী বুঝিয়ে দিলেন আরজেডিকে নিয়ে কংগ্রেসের চিন্তার কোনও কারণ নেই। শেষ পর্যন্ত মকর সংক্রান্তির সেই অনুষ্ঠানই হয়ে উঠল মহাজোটের উৎসব।
জোটের একতার ছবি তুলে ধরতে তেজস্বীর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা, বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ সহানিও সেখানে হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন জিতনরাম মাঁঝির প্রতিনিধিও।
মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের তেজস্বীর বৈঠক ঘিরে প্রদেশ কংগ্রেস একান্ত আলোচনায় উষ্মা প্রকাশ করছিল। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে বিহারে একতরফা আসন ঘোষণা করতে পারে আরজেডি। মহাজোটের ঐক্য নিয়েও কটাক্ষ করেন বিজেপি ও জেডিইউ নেতারা। আজ প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে মকর সংক্রান্তির ভোজে গিয়ে সেই জল্পনায় জল ঢালেন তেজস্বী। পরে বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রাজনীতির কথা তো হবে। দহিচূড়ায়ও রাজনীতির কথা হয়েছে। আসন সমঝোতা শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে।
প্রাথমিক ভাবে, বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ২০টিতে লড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আরজেডি। যাদব সম্প্রদায় প্রভাবিত কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও মোটামুটি পাকা। গত শনিবার নিজের বাড়িতে পটনা লাগোয়া সাত জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তেজস্বী যাদব। সেখানেই প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে সম্ভাব্য তিন জন প্রার্থীর তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। যাদব প্রভাবিত রাজ্যের সাতটি জেলা এবং মুসলিম প্রভাবিত সীমাঞ্চলের কেন্দ্রগুলি নিয়েই উৎসাহী আরজেডি নেতৃত্ব। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আসন রফার চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে মহাজোট।