নিজের কর্তব্য করতে গিয়ে গত সপ্তাহে এক বাইক আরোহীর হাতে মার খেয়েছিলেন মুম্বইয়ের পুলিশ কনস্টেবল বিলাস শিন্দে। বুধবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হল। এতে ক্ষুব্ধ পুলিশের একাংশ। বিলাসকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসও।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ ঠিক করেছে সমস্ত গাড়ি ও বাইক আরোহী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। গত সপ্তাহে খারের এক পেট্রোল পাম্পে সেই ‘ডিউটি’ করছিলেন বিলাস। সেই সময় এক বাইক আরোহী বিলাসকে তথ্য দিতে অস্বীকার করে। সূত্রের খবর, ওই বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেটও ছিল না। তর্কাতর্কি শুরু হলে বাইক আরোহী লাঠি দিয়ে বিলাসকে মেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিলাসের মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আজ বিলাসের ওরলির বাড়িতে গেলে ফডণবীসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। তাঁদের মধ্যে নিহত কনস্টেবলের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও ছিলেন ৩০-৪০ জন পুলিশকর্মীর স্ত্রী। বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করতে থাকেন, ‘‘আমরা সুবিচার চাই।’’ ফডণবীস তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। বিলাসের পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরি পায়, তা-ও আমি দেখব।’’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। বিলাসের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে কী হবে? আমাদের নিরাপত্তা দিন।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘বিলাস মার খাওয়ার পর সরকার কিছু করেনি। কিন্তু বিলাস মারা যাওয়ার পরেই নেতারা ছুটে এসেছে। বিচার পাওয়ার জন্য মানুষকে কি তবে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?’’ বিলাসের এক সহকর্মীর কথায়, ‘‘এখানে প্রত্যেক মহিলার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তাঁরা কেমন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা জানি না, স্বামীরা কাজে গেলে আর ফিরবেন কি না? আমরা টাকা নয়, সুবিচার চাই।’’
বিলাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরেও। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর কাছে অনুরোধ জানান, বিলাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হোক। এই ঘটনায় ফডণবীসের পদত্যাগ দাবি করেছে এমএনএস।