National News

একাত্তরের যুদ্ধ মনে আছে তো? পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি বেঙ্কাইয়ার

প্রতিবেশীদের (পড়ুন, পাকিস্তান) মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না। অথচ দুর্ভাগ্যবশত এই সন্ত্রাসবাদই পাকিস্তানের রাষ্ট্রনীতি হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রতিবেশীকে মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদকে মদত বা আশ্রয় দিলে তার পরিণতি মোটেই ভাল হয় না। ’৭১-এর যুদ্ধে কী হয়েছিল, সেটা প্রতিবেশীর মনে রাখা উচিত। বললেন বেহ্কাইয়া নাইডু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:০০
Share:

বেঙ্কাইয়া নাইডু।- ফাইল চিত্র।

সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে যে তার চরম মাশুল গুনতে হবে, তা মনে করিয়ে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি পদে শাসক জোট এনডিএ’র প্রার্থী বেঙ্কাইয়া নাইডু। মনে করিয়ে দিলেন ’৭১-এর যুদ্ধের ফলাফলের কথাও।

Advertisement

রবিবার দিল্লিতে ‘কার্গিল পরাক্রম প্যারেড’-এর অনুষ্ঠানে বেঙ্কাইয়া বলেন, ‘‘প্রতিবেশীদের (পড়ুন, পাকিস্তান) মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না। অথচ দুর্ভাগ্যবশত এই সন্ত্রাসবাদই পাকিস্তানের রাষ্ট্রনীতি হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রতিবেশীকে মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদকে মদত বা আশ্রয় দিলে তার পরিণতি মোটেই ভাল হয় না। ’৭১-এর যুদ্ধে কী হয়েছিল, সেটা প্রতিবেশীর মনে রাখা উচিত।’’

কার্গিলের শহিদদের স্মরণে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের উদ্দেশে রীতিমতো কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভারত যে শান্তি ও সুস্থিতিরই পক্ষে, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া। মনে করিয়ে দিয়েছেন কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

Advertisement

বেঙ্কাইয়ার কথায়,‘‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। শান্তির পক্ষে। আমরা কোনও দেশকে আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করি না। এটাই আমাদের বিশেষত্ব। আমরা যুদ্ধ চাই না। বিরোধ চাই না। কোনও রকম হিংসা চাই না। শুধু শান্তি চাই। আর প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই। কিন্তু তাদেরও একই রকম আচরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমনকী, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের এক ভগ্নাংশও কাউকে কেড়ে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। বিক্ষোভ হতে পারে। মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাকামী মনোভাবকে কখনওই বরদাস্ত করা হবে না।’’

আরও পড়ুন- ইরাক, আফগানিস্তানের পরেই জঙ্গিদের টার্গেট ভারত, মার্কিন রিপোর্ট

বেঙ্কাইয়ার এ দিনের মন্তব্যকে দু’টি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রথমত, দিনকয়েক আগেই ফের আমেরিকা ‘সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ স্বর্গ’ বলে পাকিস্তানকে তকমা দেওয়ায়, ভারতের বল কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। তা স্পষ্ট হয়েছে বেঙ্কাইয়ার মন্তব্যে। দ্বিতীয়ত, ডোকলাম পরিস্থিতি নিয়ে দিনকয়েক ধরে নাক গলানোর চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। খবর, গত বুধবার দিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই ও বৃহস্পতিবার ভূটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়েলের সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিত। কথা বলার জন্য বাসিতই দু’জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন