উরির সেনাঘাঁটিতে হামলা। ছবি পিটিআই।
প্রায় ছয় ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে হামলকারী ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনারা। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ১৭ জওয়ানও।
রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ এক দল জঙ্গি বন্দুক, গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে। সেনা সূত্রে খবর, ১২ ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারের কাছে সীমান্ত লাগোয়া ওই সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা ঘটানোই ছিল জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। কিন্তু জওয়ানদের তত্পরতায় সেই ছক ভেস্তে যায়। পাল্টা জবাব দেয় জওয়ানরাও। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ছয় ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। আহত হন বেশ কয়েক জন জওয়ান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্য কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। হামলার খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তাঁর রাশিয়া সফর বাতিল করে দেন। যোগাযোগ করেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকেন। রাজনাথ সিংহ টুই করেন, “হামলার ঘটনা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা পুরো বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।”
ঘটনাস্থলে সেনা-জওয়ারা।
সেনা সূত্রে খবর, আরও এক জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। শনিবারেই কাশ্মীরে বিএসএফ-এর আইজি বিকাশ চন্দ্র জানিয়েছিলেন, গত দু’মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের ৩০ জনের একটি দল কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর যে ভাবে কাশ্মীর অশান্ত হয়ে উঠেছিল, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে। গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর পুঞ্চে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক কনস্টেবল নিহত হন, আহত হন এক সাব-ইন্সপেক্টর। অন্য দিকে, নওগাঁওয়ে সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে ৭ জঙ্গি নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ছররা গুলিতে কিশোর মৃত, রাষ্ট্রপুঞ্জে কথার লড়াই, কাশ্মীরের সঙ্গী কার্ফুই