স্রেফ হিংসার খেসারত ৮০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
অঙ্ক কষলে দেখা যাচ্ছে, ওই ৮০ লক্ষ কোটি টাকা হল ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র ৯ শতাংশ। হিংসাত্মক নানা ঘটনার কারণে শুধু ২০১৭ সালেই ভারতীয় অর্থনীতিকে এই পরিমাণ খেসারত দিতে হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি সমীক্ষা। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে এই হিংসা মূলত ধর্ম এবং জাতিভিত্তিক। লোকসভা ভোটের আগে যা নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষে অস্বস্তির।
মোট ১৬৩টি দেশ নিয়ে সমীক্ষাটি করেছিল ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি)। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের অর্থনীতির নিরিখে ক্ষতির অঙ্কটা প্রায় ৯৯ কোটি কোটি টাকা— বিশ্বের জিডিপি-র ১২.৪ শতাংশ। হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার খরচ এড়ানো গেলে যে পরিমাণ আর্থিক কার্যকলাপ হওয়া সম্ভব ছিল, সেই হিসেবকেই এ ক্ষেত্রে ‘ক্ষতি’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মোটের ওপর শান্তি কমছে গত এক দশক ধরে। কারণ, একাধিক। জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে, পশ্চিম এশিয়ায় সংঘর্ষ জারি— যার প্রভাব পড়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের রাজনৈতিক টানাপড়েনে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে তুলনামূলক ভাবে ‘শান্তিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সমীক্ষায়। তবে রোহিঙ্গা সঙ্কট বা ডোকলামের ঘটনার উল্লেখ রয়েছে তাতে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ভারতে সঙ্ঘাতের ঘটনা বেড়েছে, যা মূলত ধর্ম ও জাতিভিত্তিক।
সব চেয়ে খারাপ অবস্থা সিরিয়ার। তাদের খেসারত দিতে হয়েছে জিডিপি-র ৬৮ শতাংশই। দ্বিতীয় আফগানিস্তান, তৃতীয় ইরাক। ভারত রয়েছে ৫৯তম স্থানে।