ভাঙনের আশঙ্কায় বিহারের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ পটনায় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর সদাকত আশ্রমে বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং জে পি অগ্রবাল। প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে আলাদা করেও কথা বলেন তাঁরা। বৈঠক শেষে সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘বিহারে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজতেই এই আলাপ-আলোচনা।’’
তবে মুখে ‘সংগঠন সাজার’ কথা বলা হলেও আসলে রাজ্যের বেশ কিছু কংগ্রেস বিধায়ক জেডিইউ এবং বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে হাইকম্যান্ড উদ্বিগ্ন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধায়কদের মন বোঝার চেষ্টা করেন এআইসিসি-র এই দুই নেতা। মহাজোট ভাঙার পর থেকেই কংগ্রেস পরিষদীয় দলে সম্ভাব্য ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি নীতীশ-ঘনিষ্ঠ জেডিইউ নেতা তথা জলসম্পদ মন্ত্রী ললন সিংহের সঙ্গে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সদানন্দ সিংহ দেখা করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরীর কট্টর বিরোধী সদানন্দের এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তিনি এই সাক্ষাৎকারকে ‘ব্যক্তিগত’ এবং ‘সৌজন্যমূলক’ বলে এড়িয়ে যান।
কিন্তু সূত্রের খবর, ২৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে নীতীশের দিকে ২১ জনই পা বাড়িয়ে রয়েছেন। বিধায়ক পদ অক্ষুণ্ণ রেখে দল ভাঙতে দরকার কমপক্ষে ১৮। শাসক শিবিরের খবর, ২৭ অগস্ট, লালুর বিরোধী-কনক্লেভের আগেই সে কাজ শুরু করতে জেডিইউ ও বিজেপি নেতৃত্ব সক্রিয়। অনেক বিধায়কই জানিয়েছেন, লালুপ্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে রাজ্যে একলা চলুক কংগ্রেস।