সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নির্ভয়ার মা। —পিটিআই
লড়াই এখানেই শেষ নয়।দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর পরই নির্ভয়া প্রকৃত বিচার পাবে। নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা বহাল রাখার পর এই প্রতিক্রিয়া নির্ভয়ার মায়ের। দ্রুত দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবিতেসোমবারফের সরব হয়েছেন আশা দেবী। একইসঙ্গে দাবি জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থা আরও কঠোর হোক, আরও গতি পাক।
নির্ভয়া কাণ্ডে শীর্ষ আদালতই নিম্নআদালতের ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছিল। তিন অপরাধী ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবনের আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে ফাঁসির সাজাই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ে একদিকে যেমন খুশি ও স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছে নির্ভয়ার পরিবারে, একইসঙ্গে ঝরে পড়েছে ক্ষোভও। রায়ের পর আশা দেবী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ফের আদালতে জয় হয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও বাড়ল। কিন্তু লড়াই এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কারণ যত দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হবে দোষীদের, তত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে নির্ভয়া। ফাঁসি দেরি হওয়ায় সমাজের মা-বোনেদের উপর প্রভাব ফেলছে। তাই বিচার ব্যবস্থা আরও দ্রুত করার আর্জি জানিয়েছি।’’
নির্ভয়ার মা এদিন বলেন, তিনি মনে করেন, ফাঁসির ফাইলগুলি আরও দ্রুত কার্যকরী করা হোক। সারা দেশে শুধু এই অপরাধীরা নয়, আরও হাজার হাজার ধর্ষক রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার শ্লথগতির সুযোগ নিয়ে হয় তারা জেলে আরামে আয়েশে দিন কাটাচ্ছে, না হলে বাইরে ঘুরছে। তাই কত তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রপতি ভবনে ফাঁসির ফাইল যাচ্ছে এবং কত দ্রুত তা কার্যকর করা হচ্ছে, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হলেগোটা দেশের ধর্ষকদের প্রতি তা একটা বার্তা দেবে।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আশা দেবী বলেন, অপরাধী ও তাদের পরিবারের লোকজনের জন্য সবরকম সুযোগ আছে। জেল থেকে আদালতে যাওয়া-আসার সময় তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত-পুলিশ কেউ ভাবে না, নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কীভাবে আদালতে পৌঁছবে, তাঁদের কোনও সমস্যা আছে কিনা।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণ থেকে ফাঁসির সাজা, এক নজরে নির্ভয়ার ঘটনাক্রম
গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে নাবালকের মুক্তি নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলেছেন নির্ভয়ার মা। তিনি বলেন, নাবালক বলে যাকে ছেড়ে দেওয়া হল, সে এখন বছর কুড়ির তরুণ। ধর্ষণের প্রবৃত্তি নিয়ে আমাদের সমাজের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংশোধনাগারে মাত্র তিন বছর থেকে তার মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।