হিন্দু বাঙালিদের নিয়ে কেন্দ্রের বিশেষ ভাবনা 

পুনর্বাসনের যাবতীয় ব্যয়ভার কেন্দ্র বহন করবে। অসমকে বা উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্যকেই সেই দায়ভার বইতে হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৭
Share:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আন্দোলনরত অসমকে আশ্বস্ত করতে নয়া পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অসমে যে হিন্দু বাঙালিরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে প্রমাণ হবে তাঁদের দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের যাবতীয় ব্যয়ভার কেন্দ্র বহন করবে। অসমকে বা উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্যকেই সেই দায়ভার বইতে হবে না।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সূত্রের ব্যাখ্যা, নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ার ভিত্তিতে পুনরায় আবেদন পত্র জমা নেওয়া হয়েছে। যদি ধরে নেওয়া যায়, কম-বেশি যে আট লক্ষ মানুষ পুনরায় আবেদন করতে পারেননি, বা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে হিন্দুর সংখ্যা খুব বেশি হলে ২ থেকে ৩ লক্ষ হবে। পরিবার ধরলে ৫০ হাজার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের অসম থেকে সরিয়ে এনে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে পুনর্বাসন দিলে অসম বা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ভূমিপুত্রদের আশঙ্কার কারণ থাকবে না।

এ দিকে, নাগরিকত্ব বিল পাশ হলেও নাগাল্যান্ডের চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছে নাগা মন্ত্রিসভা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু আছে। তাই বহিরাগতদের রাজ্যে পাকাপাকি বসবাসের সুযোগ মিলবে না। মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও জানান, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের ভূমিপুত্রদের আশঙ্কা নিরসনের আর্জি জানিয়েছেন। এ দিকে, লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভোটাভুটির আগেই কংগ্রেসের ‘ওয়াক আউট’-এর সমালোচনা করে সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি পাঠায় প্রদেশ কংগ্রেস। আর্জি জানানো হয়, রাজ্যসভায় বিলটিতে যেন দলের সাংসদরা বিপক্ষে ভোট দেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা বলেন, ‘‘বিল ও ছয় জনজাতির তফশিলভুক্তি নিয়ে বিজেপি বিভেদ তৈরি করছে। কংগ্রেস হিন্দু বাঙালি-বিরোধী নয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন