সেই ‘আত্মঘাতী’ জওয়ান।
কয়েক দিন আগে একটি ওয়েবসাইটে সেনাবাহিনীর নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন এক জওয়ান। মহারাষ্ট্রের দেওলালি ক্যান্টনমেন্টের সেই বন্দুকধারী জওয়ান রয় ম্যাথুর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার। ম্যাথু একটি পরিত্যক্ত সেনা ব্যারাকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীতে ব্রিটিশ আমলের ‘স্তাবকতা’ চলছে বলে একটি ওয়েবসাইটে মুখ খোলার পর গত শনিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ৩৩ বছরের ম্যাথু। তাঁর দেহটি পচে, গলে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে ম্যাথু আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তে সেনাবাহিনীও ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’র নির্দেশ দিয়েছে।
ভাইয়ের মৃতদেহ পরিবারের হেফাজতে নিতে ইতিমধ্যেই দেওলালিতে পৌঁছে গিয়েছেন ম্যাথুর দাদা জোজো জোসে। তিনি বলেছেন, ‘‘ঘটনাটা শুনে আমরা আকাশ থেকে পড়েছি। শুনেছি ওর একটি ডায়েরি পুলিশ পেয়েছে। দেখতে হবে সেখানে কিছু লিখে রেখে গিয়েছিল কি না।’’
আরও পড়ুন- ‘কী ভাবে আত্মহত্যা করব’ প্রশ্নে গুগল কী করল জানলে চমকে যাবেন
সেনাবাহিনীতে কী চলছে, তা বোঝাতে গিয়ে ওই ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও দিয়েছিলেন ম্যাথু। তাতে দেখানো হয়েছিল, বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের কুকুরদের সঙ্গ দেওয়া বা তাঁদের সন্তানসন্ততিদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, স্কুল থেকে নিয়ে আসার জন্য ম্যাথুর মতো জওয়ান, বন্দুকধারীদের ব্যবহার করা হয়। তবে ওই ভিডিওটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর ম্যাথুকে জেরা করা হয়নি বা তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়নি বলে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।