জানাতেই হবে মোদী-সঙ্গী কারা

নীরজের দাবি, তাঁকে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশে-বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের নাম প্রকাশ করা যাবে না এবং তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(এ) ধারাতেই এই ছাড় রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২১
Share:

রবিবার দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে। ছবি: পিটিআই।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে কারা বিদেশে যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ দেখিয়ে ওই তথ্য দেওয়ায় আপত্তি তুলেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। তা খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। তবে ছাড় পেয়েছেন মোদীর দেহরক্ষীরা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত অফিসারেরা। অর্থাৎ শুধু তাঁদের নামই গোপন রাখা যাবে।

Advertisement

তথ্যের অধিকার আইনে দু’টি আর্জির প্রেক্ষিতে এই সাম্প্রতিক নির্দেশ। মুখ্য তথ্য কমিশনার বলেছেন, ‘‘যাঁরা সরকারি ব্যক্তি নন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে যাঁদের যোগ নেই— এমন যাঁরা প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বিদেশ সফর করেছেন, তাঁদের নাম আবেদনকারীকে দেওয়া উচিত বলে কমিশন মনে করে।’’ আয়ুব আলি এবং নীরজ শর্মা নামে দুই ব্যক্তি যথাক্রমে ২০১৬-র এপ্রিল এবং ২০১৭-র জুলাইয়ে তথ্যের অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রীর কাজকর্ম সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। নীরজের আর্জি ছিল, মোদীর সঙ্গে যে সমস্ত ব্যবসায়ী, ব্যবসার অংশীদার বা বেসরকারি সংস্থার সিইও স্তরের অফিসারেরা বিদেশ সফরে যান, তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক। আলি জানতে চেয়েছিলেন মোদীর সঙ্গে দেখা করার পদ্ধতি, তাঁর বাড়ি ও অফিসের মাসিক খরচ, তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কতগুলি বৈঠক করেছেন, কতগুলি নির্বাচনী সভা করেছেন, ওই সমস্ত সভায় সরকারের কত খরচ হয়েছে ইত্যাদি খতিয়ান। কিন্তু যথাযথ উত্তর পাননি দু’জনের কেউই। তাই এই সংক্রান্ত সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

নীরজের দাবি, তাঁকে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশে-বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের নাম প্রকাশ করা যাবে না এবং তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(এ) ধারাতেই এই ছাড় রয়েছে। পিএমও-র বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে। কিন্তু সফরসঙ্গীদের প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা আলাদা ঝুঁকি আছে। তাই বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া অসম্ভব। নীরজ পাল্টা বলেন, মনমোহন সিংহের জমানায় এই সমস্ত তথ্যই পিএমও-র সাইটে মিলত।

Advertisement

মুখ্য তথ্য কমিশনারের নির্দেশ, ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্য দিতে হবে। পিএমও-র কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক (সিপিআইও) জানিয়েছেন, খরচের হিসেব তাঁদের সাইটেই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট লিঙ্কটিও কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে পিএমও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন