Odisha Wrestlers

টিকিট মেলেনি, ঠান্ডায় ট্রেনের শৌচাগারের পাশে বসেই জাতীয় কুস্তিতে খেলতে যেতে হল খেলোয়াড়দের

টিকিট কনফার্মড হয়নি। ফলে জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া কুস্তিগিরদের ট্রেনে যাত্রা করতে হল সাধারণ কামরায়। শৌচাগারের পাশে বসে, প্রবল ঠান্ডায় উত্তরপ্রদেশে গেল তারা। গোটা ঘটনাটি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৫৬
Share:

শৌচাগারের পাশে বসে সফর কুস্তিগিরদের। ছবি: সমাজমাধ্যম।

টিকিট কাটা হলেও তা কনফার্মড হয়নি। ফলে জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া কুস্তিগিরদের ট্রেনে যাত্রা করতে হল সাধারণ কামরায়। শৌচাগারের পাশে বসে, প্রবল ঠান্ডায় উত্তরপ্রদেশে গেল তারা। প্রতিযোগিতা শেষে ফিরতেও হল একই ভাবেই। গোটা ঘটনাটি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।

Advertisement

ঘটনাটি ওড়িশার। সে রাজ্যের দশ জন ছেলে এবং আট জন মেয়ে, মোট ১৮ জন সুযোগ পেয়েছিল জাতীয় কুস্তিতে অংশ নেওয়ার। যাতায়াত-সহ সব ব্যবস্থা করার কথা ছিল রাজ্যের স্কুল এবং গণ শিক্ষা দফতরের। কিন্তু খেলোয়াড়দের ট্রেনের টিকিটই নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। ফলে প্রবল ঠান্ডায়, সাধারণ কামরায় কোনও মতে ঘাড় গুঁজে উত্তরপ্রদেশে সফর করতে হয়েছে তাদের। ফিরতেও হয়েছে একই ভাবে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। তবে কুস্তিগিরদের কোনও মতে নিজেদের ব্যাগে মাথা ঠেকিয়ে, অপরিষ্কার ট্রেনে শুয়ে-বসে সফর করতে দেখা গিয়েছে। তার পরেই বিভিন্ন মহল থেকে তোপ দাগা হয়েছে সরকারের প্রতি। কারা এর জন্য দায়ী, তা জানার জন্য তদন্ত দাবি করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার এখনও এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি।

Advertisement

এক শিক্ষক বলেন, “চিঠি পেয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গিয়েছিলাম। দলের ম্যানেজার কটকের ভানু রানা টিকিট কনফার্মডই করাননি। আমরা চার জন শিক্ষক চারটে দলকে নিয়ে যাই। শৌচাগারের পাশে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে সফর করতে হয়েছে তাদের। একজন মন্ত্রীকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।”

বিশ্বজিৎ মহাপাত্র নামে এক অভিভাবক বলেছেন, “টিকিটের ব্যাপারে আমরা কিছু জানতামই না। স্টেশনে ছাড়তে আসার পর জানতে পারি কারও কনফার্মড টিকিট নেই। ওদের শৌচাগারের পাশে বসে যেতে হয়েছে। কোচ এবং ম্যানেজারকেও একই কাজ করতে হয়েছে। এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ফিরতেও হয়েছে একই ভাবে। বেরহামপুরের এক যাত্রী দয়া করে আমাদের একটু ঘুমনোর ব্যবস্থা করে দেন। এর ফলে ওদের খেলাতেও প্রভাব পড়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement