কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএস-এর সাংগঠনিক ধাঁচের জমিন-আসমান ফারাক রয়েছে। মন্তব্য দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের। বিজেপি-আরএসএস যতটা সংগঠিত ভাবে রাজনীতি করে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামো তার ধারেকাছে আসে না বলেই বিপর্যয়ের মুখ দেখতে হচ্ছে কংগ্রেসকে, এমনই ইঙ্গিত চিদম্বরমের। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল বা তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে যে ধরনের সংগঠন তৈরি করেছে, তার সঙ্গে বিজেপি-আরএসএস পাল্লা দিতে পারবে না বলে চিদম্বরমের মত। শনিবার তিনি এই মন্তব্য করেন।
তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যে কৌশলে নিজেদের দিকে ভোট টানতে সফল হয়েছে, সেই রণনীতি যদি বাংলা বা তামিলনাড়ুতে প্রয়োগ করতে যায়, তা হলে ডাহা ফেল করবে।
আরও পড়ুন: কে এই যোগী? আগাগোড়া ‘হট-ফেভারিট’ না হয়েও শেষবেলায় মুখ্যমন্ত্রী!
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নোটবন্দির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে উত্তরপ্রদেশে নোটবন্দিকে মোদীর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু তাঁর সেই হাতিয়ার কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে পারেনি সে রাজ্যের মানুষকে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস-সপা জোট। আর নোটবন্দির সপক্ষে প্রচার করে বাজিমাত করে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অবশ্য পঞ্জাবের উদাহরণ টেনে এনেছেন চিদম্বরম। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের ভোট যদি নোটবন্দির সপক্ষে হয়, তা হলে পঞ্জাবের ভোট অবশ্যই নোটবন্দির বিরুদ্ধে।
ভারতের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন চিদম্বরম। তিনি বলেন, সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনশন করতে হলে এটাই প্রমাণিত হয় যে দেশে গণতন্ত্র এখনও পরিণত হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানেই সমস্যায় পড়তে হবে, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে মানুষকে।