প্রতীকী ছবি।
রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের প্রস্তাব আনার পরে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। ক’দিন আগে যে শীলা বলেছিলেন, ‘‘হাইকম্যান্ড চাইলে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের সমঝোতা হতে পারে।’’
দুই দলের দূরত্ব ফের বাড়তে দেখে অমিত শাহ আজ দিল্লিতে দলের বুথ-কর্মীদের বৈঠকে সুকৌশলে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তোলেন। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘১৯৮৪ থেকে শিখদের কেন সুবিচার দেয়নি কংগ্রেস? কারণ, দাঙ্গায় তাদেরই মদত ছিল। রাহুল গাঁধী আর অরবিন্দ কেজরীবাল নিরন্তর মিথ্যা বলে মানুষকে বোকা বানান।’’
শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় সজ্জন কুমারের সাজার ঘোষণার পরেই দিল্লির রাজনীতি তেতে ওঠে। সজ্জন কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু দিল্লি বিধানসভায় আপের আনা প্রস্তাব পাশ হয়, যেখানে রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের কথাও ছিল। যদিও পরে বিধানসভার স্পিকার থেকে আপের নেতারা দাবি করেন, সেই প্রস্তাব পাশ হয়নি। কিন্তু এই ঘটনা শীলা দীক্ষিত, অজয় মাকেনদের মতো কেজরীবাল-বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের অক্সিজেন দিয়েছে।
কংগ্রেসের এক সূত্রের মতে, দিল্লির লোকসভা ভোটে রাহুল-কেজরীবাল সমঝোতার কথা চলছিলই। শীলার মতো নেত্রীরাও হাইকম্যান্ডের কথায় সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু কেজরীবাল হয়তো ভেবেছিলেন, এই প্রস্তাব এনে আসন নিয়ে দর কষাকষির মাত্রা বাড়াবেন। কিন্তু হিতে বিপরীত হল। এখন নতুন করে কংগ্রেসের মধ্যে কেজরী-বিরোধী নেতাদের রাজি করাতে হবে। আজ আপের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যুব কংগ্রেস। কেজরীর দল অবশ্য ক্ষত মেরামতের আপ্রাণ চেষ্টা করছে।