ফাইল চিত্র।
কিছুই বললেন না তিনি। বরং বাজেটের আগেই আরেকটা যেন বাজেট ঘোষণা করে দিলেন। বাজেট বক্তৃতার ঢঙে অসংখ্য জনমুখী প্রকল্পের ঘোষণার ঢেউয়ের আড়ালে এড়িয়েই রইলেন সেই মোক্ষম প্রশ্নটির উত্তর— মানুষ তো অনেক কষ্ট সইল, কিন্তু কালো টাকার কতটা কী হল বাস্তবে! নোট বাতিলের ৫৩ দিন পর টিভির পর্দায় জনগণকে অবশ্য হয়রানি কাটার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তা যে হবে তা তো গত দিনগুলিতে আস্তে আস্তে প্রমাণ পেয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু যার দিকে তাকিয়ে এই হয়রানিকে স্বাগত জানাল দেশবাসী, সেই কালো টাকার কী হল? কতটা উদ্ধার করতে পারলেন কালো টাকা? একবারও সে প্রসঙ্গ ছুঁলেন না তিনি। বরং পুরো ভাষণজুড়ে রেখে দিলেন নতুন কিছু প্রকল্পের কথা। কংগ্রেস তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে ‘অন্তঃসার শূন্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের একটা অংশের আবার মনে করছেন, সরকার খানিকটা নার্ভাস হয়েছে। কারণ, যে লক্ষ্য পূরণের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মোদী, তাতে সাফল্য পাননি। সে কারণেই হয়তো নার্ভাস হয়ে গিয়ে অসময়ে বাজেটের কিছু প্রকল্প ঘোষণা করে বসলেন মোদী।
কলো টাকার প্রসঙ্গ এড়াতে ঠিক কী কী ঘোষণা করলেন মোদী? দেখে নিন...
• ৬০ দিনের জন্য কৃষিঋণ মকুব। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নয়া প্রকল্প। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৮ শতাংশ সুদ নিশ্চিত। প্রবীণদের জন্য ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নিতে ৮ শতাংশ সুদ নিশ্চিত। ১০ বছরের লগ্নিতে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিশ্চিত।
• গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রকল্প। দেশের ৬৫০ জেলা হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার, টীকাকরণ ও প্রসবের জন্য ৬,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
• ছোট ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট গ্যারান্টি এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ছোট ব্যবসায়ীরা ঋণ পাবে।
• ৩ কোটি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডকে রূপে কার্ডে পরিবর্তন করা হবে। রবিশষ্যের ঋণ ৬০ দিন পর্যন্ত বহন করবে সরকার।
• গ্রামে ঘর সংস্কারে ২ লক্ষ টাকা ঋণে ৩ শতাংশ ছাড়। গ্রামীন এলাকায় ৩৩ শতাংশ নতুন বাড়ি হবে।
• শহরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে সুদের হারে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। আর ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে সুদের হারে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।
• প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় দু’টি আলাদা স্কিম চালু করা হল।
আরও পড়ুন: সপা নাটক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিছু হটে অখিলেশকে ফেরালেন মুলায়ম