সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভাঙার পর ফের নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে আঘাত হানল এনএসসিএন খাপলাং বাহিনী। আজ সকালে অরুণাচলপ্রদেশে ওই জঙ্গি হামলায় তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর আগে নাগাল্যান্ডের ওখায় আসাম রাইফেল্স-এর কনভয়ে হামলা চালিয়ে ৪ জওয়ানকে জখম করেছিল খাপলাং বাহিনী। কোহিমা থেকে সেনা মুখপাত্র এমরন মুসাভি জানান, এ দিন লংডিং জেলা থেকে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা তিরাপ জেলা যাচ্ছিল সেনা কনভয়। খোনসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে থাকা জঙ্গিরা হামলা চালায়। ৬ জওয়ান জখম হন। দু’পক্ষে সংঘর্ষের পর জঙ্গিরা জঙ্গলে পালায়। জখম জওয়ানদের তিন জনকে ডিব্রুগড়ের সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। সেনা সূত্রে খবর, খাপলাং বাহিনী ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ভাঙার আগে থেকেই তিরাপ ও খোনসা জেলায় তাদের সঙ্গে এনএসসিএন (আইএম) বাহিনীর এলাকা দখলের লড়াই চলছে। সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেল্সও নাগা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। দু’পক্ষের লড়াইয়ে কয়েক জন নাগা জঙ্গি মারা গিয়েছে। মায়ানমারে খাপলাংদের আশ্রয়ে থাকা পরেশ বরুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা ও মণিপুরের পিএলএ ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খাপলাংকে সমর্থন জানায়। তারা যৌথ ভাবে লড়াইয়েরও অঙ্গীকার করেছে। পিএলএ ৩১ মার্চ মণিপুরের উখরুলে আসাম রাইফেল্স-এর কনভয়ে হামলা চালিয়ে দুই জওয়ানকে মারে। সেনাসূত্রে খবর, এই ঘটনায় খাপলাং বাহিনীর সঙ্গে আলফা জঙ্গিদেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হামলাকারীদের
ধরতে এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।