প্রতীকী ছবি
হিজবুল জঙ্গি কমরুদ্দিন ওরফে কমরুজ্জামান গ্রেফতার হওয়ার পরে অসমে ছড়িয়ে পড়া হিজবুল নেটওয়ার্ক ক্রমশ সামনে আসছে। ধরা পড়ল আরও তিন সন্দেহভাজন লিংকম্যান।
হোজাইয়ের এসপি অঙ্কুর জৈন জানান, নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে লঙ্কার ৮ নম্বর উদালি গ্রাম থেকে ২৭ বছরের সইদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। কলেজের পড়া অসম্পূর্ণ রেখেই কাশ্মীর চলে যাওয়া সৈদুল গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার সেখানে যাতায়াত করেছে। কাশ্মীরে, অনেক দিনের বন্ধু কমরুদ্দিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। জৈন জানান, কমরুদ্দিনের মা ও স্ত্রী দাবি করছেন, ২০১৭ সালের জুনের পর থেকে সে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে তা ঠিক নয়। পুলিশ জানতে পেরেছে মাস দেড়েক আগেও সে হোজাইয়ে আসে। তখন তার পরিচয় গোপন রেখে নীলবাগানের বাসিন্দা শাহনওয়াজ আলম তার জন্য মোবাইল ও সিমের ব্যবস্থা করে দেয়।
এটিএস সূত্রে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে স্থানীয় জঙ্গি ওসামা বিন জাভেদের মাধ্যমে হিজবুলে যোগ দেয় কমরুদ্দিন। খিস্তওয়ারের পাহাড়ে অস্ত্র চালনা, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে সে অসমে যায়। সম্প্রতি আসে কানপুরে। সেখানে স্থানীয় গণেশ মন্দিরের পুজোর মিছিলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কমরুদ্দিনের মোবাইলে প্রস্তুতির রেকি করার ভিডিও মিলেছে। ওই মোবাইলটিই শাহনওয়াজ তাকে দিয়েছিল। গত কাল হোজাইয়ের নীলবাগান থেকে শাহনওয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। কানপুরে ভাড়া বাড়িতে আরও তিন যুবক থাকত। তাদের খোঁজ চলছে। আজ তার আর এক সহায়তাকারী ওমর ফারুখকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বর্নিহাট এলাকা থেকে। পরে তাকে দিসপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অগস্টেই হোজাই আসা কামরুদ্দিন কানপুর যাওয়ার আগে মেঘালয়েও গিয়েছিল। ওমর তাকে আশ্রয় দেয়।