ইরানে গিয়ে নিখোঁজ তিন ভারতীয় নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত।
ইরানে যাওয়ার পর তিন ভারতীয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, অপহরণ করা হয়েছে ওই তিন তরুণকে। নিখোঁজ ওই তিন ভারতীয় কোথায় রয়েছেন, তা জানতে ইরানি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ইরানি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ওই তিন ভারতীয়ের সন্ধান দেওয়ার জন্য বলেছে এ দেশের দূতাবাস। তাঁদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করার জন্য ইরানি কর্তৃপক্ষকে বলেছে ভারতীয় দূতাবাস।
নিখোঁজ তিন ভারতীয়ের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দূতাবাস। তবে দাবি করা হচ্ছে, ওই তিন তরুণই পঞ্জাবের বাসিন্দা। হুশনপ্রীত সিংহ, জসপাল সিংহ এবং অমৃতপাল সিংহ গত ১ মে ইরানে পৌঁছোন। তেহরান বিমানবন্দরে অবতরণের কিছু ক্ষণ পর থেকেই তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের দাবি, পঞ্জাবের এক এজেন্ট মারফত দুবাই-ইরান হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ইরানে যাওয়ার পর তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ পরিবারের। যে এজেন্ট মারফত তিন তরুণ বিদেশে গিয়েছিলেন, তাঁরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি পরিবারের।
নিখোঁজ ওই তিন ভারতীয়ের পরিবার জানিয়েছে, মুক্তিপণ হিসাবে ১ কোটি টাকা দাবি করছেন অপহরণকারীরা। তেহরানে অপহৃত হওয়ার পরে অপহরণকারীদের ফোন থেকে শুরুর দিকে পরিবারের সঙ্গে কথা হত তাঁদের। কিন্তু গত ১১ মে থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।
তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ওই তিন নিখোঁজ ভারতীয়ের পরিবারের সদস্যেরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। একসঙ্গে তিন ভারতীয়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় দূতাবাসও। দূতাবাস জানিয়েছে, বিষয়টি ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো ভাবে তুলে ধরেছে তারা। নিখোঁজ ভারতীয়দের দ্রুত খুঁজে দেওয়ার জন্য এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। ওই তিন ভারতীয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকেরা।
শিয়া কট্টরপন্থী ইরানের আইন প্রণয়ন এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রভাব অতীতে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনেই। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যাঁরা নিবিড় পর্যবেক্ষক, তাঁদের একাংশের মতে সেখানকার প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান একজন ‘সংস্কারমুখী’ রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিত। তবে ইরানের পোশাকবিধি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও ধর্মীয় নেতার প্রভাব দেখা যায়।