মণিপুরে ৩ তৃণমূল বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ

বিধায়ক পদ হারালেন মণিপুরের তিন তৃণমূল বিধায়ক। ফলে, সে রাজ্যে তৃণমূল বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৩। মণিপুরের তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। স্বেচ্ছায় তৃণমূল ত্যাগ করা বিধায়করা জানান, তাঁরা নতুন দল গড়বেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০৩:০৪
Share:

বিধায়ক পদ হারালেন মণিপুরের তিন তৃণমূল বিধায়ক। ফলে, সে রাজ্যে তৃণমূল বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৩। মণিপুরের তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। স্বেচ্ছায় তৃণমূল ত্যাগ করা বিধায়করা জানান, তাঁরা নতুন দল গড়বেন।

Advertisement

প্রথম বার মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন লড়তে নেমে ৭টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার পর থেকেই অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার দল। গত বছর কিম গাংতে, টি শ্যামকুমার ও কে জয়কিষেণ তিন জনই নিজেদের প্রদেশ সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। সমর্থকদের নিয়ে পৃথক দফতর খুলে বসেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন তাঁরা। ডেরেক ও’ব্রায়েনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া, দলীয় কোঁদলকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।

গত বছর জুন মাসে ডেরেকের নির্দেশে টি শ্যামকুমার প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি হন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন তিন বিদ্রোহী বিধায়ক কে জয়কিষেণ, থংগাম বিশ্বজিত ও ও লুখোই। তাঁরা দাবি করেন, গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী তৃণমূল রাজ্যে নথিভুক্ত দল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ মানা হবে না। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনের সাহায্য নেওয়ার হুমকিও দেন তাঁরা। এর পর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই দলবিরোধী কাজের জন্য শ্যামকুমার ওই তিন বিদ্রোহী বিধায়ককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করেন। বিধানসভার স্পিকারের কাছে তিন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদনও জানান শ্যামকুমার।

Advertisement

গত বছর কুঞ্জ সিংহর মৃত্যুর পর, উপনির্বাচনে হিয়াংলাং কেন্দ্র দখলে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬। সম্প্রতি, তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মণিপুরে দলীয় বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হন। ডেরেকের নির্দেশে তিন বিদ্রোহী বিধায়ক কে জয়কিষেণ, থংগাম বিশ্বজিত ও ও লুখোইয়ের উপর থেকে ‘সাসপেনশন অর্ডার’ প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন শ্যামকুমার। স্পিকার টি লোকেশ্বর সিংহকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়। রফাসূত্র হিসেবে জয়কিষেণকে কার্যনির্বাহী সভাপতি, বিশ্বজিৎ ও লুখোইকে উপসভাপতি করা হয়। শ্যামকুমার ঘোষণা করেন, দল এখন ঐক্যবদ্ধ।

কিন্তু শ্যামকুমারের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করে জয়কিষেণরা তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। নতুন দল গড়বেন বলেও জানান। তাই, বিধানসভা থেকে তাঁদের সদস্যপদ খারিজের জন্য ফের আবেদন জানান শ্যামকুমার। জয়কিষেণ ইম্ফলের থংনেইবাঁধ, বিশ্বজিৎ পূর্ব
ইম্ফলের থংজু ও লুখোই পশ্চিম ইম্ফলের ওয়াংগৈ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।

আজ স্পিকার লোকেশ্বর জানান, তিন বিধায়ক স্বেচ্ছায় তৃণমূল ছেড়ে নতুন দল গড়তে চাওয়ায় সংবিধানের ধারা অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হচ্ছে। জয়কিষেণ পরে জানান, তাঁরা স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন না। বরং নতুন দলের জন্য জনতার কাছে দরবার করতে প্রস্তুত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন