—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রণথম্ভৌর ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে এ বার বাঘিনীর হানায় প্রাণ গেল রেঞ্জারের। যোগী মহলের কাছে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই বাঘিনী। তার পরে তাঁর ঘাড় ধরে গভীর জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। পরে দেবেন্দ্র চৌধরি নামে ওই রেঞ্জারের দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। কয়েক সপ্তাহ আগে সাত বছরের এক বালককে ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘিনী। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। বন দফতর মনে করছে, দুই ঘটনার নেপথ্যে ওই একই পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী রয়েছে। বাঘিনী হিংস্র হয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন তারা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার টহল দিচ্ছিলেন রেঞ্জার দেবেন্দ্র। সে সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘিনী। দেবেন্দ্রের বয়স ৪০ বছর। তাঁর বাবাও বন দফতরে চাকরি করতেন। কর্মরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যুর পরে চাকরি পেয়েছিলেন দেবেন্দ্র। আট বছর ধরে রণথম্ভৌর ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে কাজ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি পদোন্নতির পরে রেঞ্জার হয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দেড় বছরের সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক বন আধিকারিক।
যে যোগী মহলের কাছে বাঘটি হানা দিয়েছিল, সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা খুব বেশি। এই ঘটনার পরে তাই উদ্বিগ্ন বন দফতর। দিন কয়েক আগে রণথম্ভৌরেরই একটি মন্দির থেকে এক সাত বছরের বালককে ওই বাঘিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবারের ঘটনার পরে বনকর্মীদের একাংশের পরিকল্পনা, ওই বাঘিনীকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে তালেদা রেঞ্জে ঘেরা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এতে সায় দিচ্ছে না বন দফতরের বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা মনে করছেন, আর কিছু দিন অপেক্ষা করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, রণথম্ভৌর ব্যাঘ্র প্রকল্পে মানুষ এবং পশুর সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন অনেকেই।