ফেরানো পদ ফেরত নিতে আর্জি তৃণমূলকে

কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের অভিযোগ, সংখ্যার দাপটে বিরোধীদের তোয়াক্কা না করে সংসদে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে মোদী সরকার।

Advertisement

অগ্নি রায় ও অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১০
Share:

ছবি: পিটিআই।

আগের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ— এই অভিযোগ তুলে ফিরিয়ে দেওয়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদটি গ্রহণ করার জন্য ফের অনুরোধ করা হল তৃণমূলকে।

Advertisement

কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের অভিযোগ, সংখ্যার দাপটে বিরোধীদের তোয়াক্কা না করে সংসদে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে মোদী সরকার। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও চালাচ্ছে নিজেদের দখলদারি। তবে সিএএ পাশের পরে দেশজোড়া বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে এ বার ভাবমূর্তি ফেরাতে সচেষ্ট সরকার। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কিছু পদ নেওয়ার জন্য বিরোধীদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তৃণমূলকে বলা হয় ‘কমিটি অন পেপার্স লেড’-এর চেয়ারম্যানের পদটি নিতে। গত বার পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রক সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বর্তমান পদটি ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ বলে লিখিত ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন ডেরেক। সরকারি সূত্রের খবর, এর পরেও শুক্রবার রাজ্যসভার সচিব পি পি কে রামাচারুলু সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়কে। তাঁকে বলা হয়, সংসদে আনা বিভিন্ন নোটিস ও বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রকের সংসদে পেশ করা কাগজ (কমিটি অন পেপার্স লেড) সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদটি নেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন।

আরও পড়ুন: ‘নোটবন্দির দ্বিগুণ ক্ষতিকারক হবে এনপিআর, এনআরসি’, তোপ রাহুলের

Advertisement

সূত্রের খবর, রাজ্যসভার সচিবের কাছ থেকে আসা এই প্রস্তাবে সুখেন্দুশেখর জানান, ইতিমধ্যে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ডেরেকের একার নয়, শীর্ষ নেতৃত্বের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে যা স্থির করবেন সেটাই চূড়ান্ত। রাজ্যসভার সচিব চাইলে তাঁকে এই প্রস্তাব দিতে পারেন। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব বেশি দিন তাঁরা অপেক্ষা করতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলের এটা পাওয়ার কথা বলেই অপেক্ষা করা হচ্ছে। ‘কমিটি অন পেপার্স লেড’ গুরুত্বপূর্ণ একটি সংসদীয় কমিটি। সংসদের দুই কক্ষে যত নোটিস আসে এবং বিভিন্ন মন্ত্রকের যে সব কাগজপত্র অধিবেশন কক্ষে পেশ করা হয়, তা খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনে ফের মন্ত্রকের কাছে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে এই কমিটির। তৃণমূলের দাবি, কোনও নির্দিষ্ট মন্ত্রক বিষয়ক না-হওয়ায় এই কমিটির চেয়ারম্যান পদটির গুরুত্ব কম। আগে হাতে থাকা পদের চেয়ে তো কমই।

তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা অনুযায়ী দু’টি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ তাদের প্রাপ্য। ইতিমধ্যেই খাদ্য ও গণবণ্টন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যসভার পক্ষ থেকে দেওয়া ‘কমিটি অন পেপার্স লেড’-এর চেয়ারম্যান পদটি গ্রহণের প্রস্তাব লিখিত ভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেরেক। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে বিজেপি নিজেদের সাংসদ জি ভেঙ্কটেশকে সেখানে বসিয়ে বিলগ্নিকরণ-সহ বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করিয়ে নিতে চাইছে। বদলে তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদটি নিতে বলা হচ্ছে তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন