— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে তীব্র প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা রয়েছে, তা সামাল দিতে মহিলাদের সমর্থন আরও কিছুটা বাড়াতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের স্বার্থকে আগে রেখে প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে। আজ তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মনরেগার নাম ও রূপ বদলানোর প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। তবে সংসদীয় বিতর্কেই থেমে না থেকে বিষয়টিকে যে ভোটের ময়দানে নিয়ে যাবে মমতার দল, তা স্পষ্ট করে দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ বলেন, “মনরেগার পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাঁরা দেশের মহিলারা। গত পাঁচ বছরে মনরেগার অন্তর্গত মোট কাজের ৫০ শতাংশ করেছেন মহিলারা।
অনেক রাজ্য এমনও রয়েছে যেখানে কর্মীদের ৯০ শতাংশ নারী। মনরেগার মাধ্যমে তাঁরা যে টাকা পেয়েছেন, তা তাঁদের সংসারের কাজে লেগেছে। তাঁদের বাচ্চারা স্কুলে গিয়েছে, তাদের জন্য নতুন জামাকাপড়, বই কিনে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সে সব গেল। শ্রমিকের বাজারে পুরুষকে নারীর থেকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মনরেগায় এ বার প্রথম পুরুষ ও নারীর প্রাপ্ত টাকার মধ্যে ফারাক তৈরি হল।”
ডেরেকের বক্তব্য, “মনরেগা তৈরিই হয়েছিল মানুষের কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে। নতুন বিলটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের সরবরাহ ভিত্তিক। অর্থাৎ সরকারের জমিদারি চলবে। এটা স্পষ্ট যে সরকার চায় না কেউ তার অধিকার বুঝে নিক। মনরেগা ছিল মানুষের অধিকারের বিষয়। তার বদলে কেন্দ্র চাইছে ভোটের আগে খরয়তি করতে। তাও রাজ্যের টাকায়। নতুন বিল মানুষের অধিকারকে ভিক্ষায় পরিণত করল।”
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে