Sougata Roy

বিরোধীদের শাসিত সব রাজ্যই বঞ্চিত: সৌগত

লোকসভায় নিজের বক্তব্যে সৌগত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই কর্নাটক, কেরল, তেলঙ্গানা, পঞ্জাবের মতো বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির বঞ্চনা নিয়েও সরব হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৯
Share:

সৌগত রায়। —ফাইল চিত্র।

সরকারি প্রকল্পের প্রচারই সার। কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলি। এই মর্মেই আজ লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে আলোচনায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আগামিকাল দিল্লির ভোটের জন্য সংসদ বন্ধ। বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে লোকসভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আজ লোকসভায় নিজের বক্তব্যে সৌগত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই কর্নাটক, কেরল, তেলঙ্গানা, পঞ্জাবের মতো বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির বঞ্চনা নিয়েও সরব হন। সৌগত বলেন, ‘‘বাংলায় একশো দিনের কাজের খাতে প্রায় ৭৩০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকার পাওয়ার প্রশ্নে কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি।’’ এর পাশাপাশি, মণিপুরের উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়েও সরব হয়ে সৌগত প্রশ্ন তোলেন, জনজাতি সমাজের এক জন প্রতিনিধি হয়েও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন মণিপুর নিয়ে নীরব?

রাজ্যসভায় আজ তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সরকারি পরিষেবায় ঘাটতির বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তৃণমূলের আর এক সাংসদ প্রকাশ চিক বারাইক সারনা ধর্মের স্বীকৃতি দাবি করেন। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, রাজ্য বিধানসভায় সারনা কোর্ট ফের চালু করার প্রস্তাব গ্রহণ করে তা কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তা কেন্দ্রের ঘরে পড়ে রয়েছে। লোকসভায় যেমন অভিষেক, তেমনই রাজ্যসভায় তৃণমূলের তরফে বাজেট বিতর্কে বক্তব্য রাখবেন সুস্মিতা দেব, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাগরিকা ঘোষ।

অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করার জন্য সংসদে দাবি তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ’টি দীর্ঘদিনের দাবি। ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই রাজ্য বিধানসভা এ বিষয়ে প্রস্তাব নিয়েছিল। এ বিষয়ে সমস্ত স্পষ্টিকরণ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, এই নাম বদল রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই হবে। বিজেপি সাংসদেরা এ নিয়ে হইচই করেন।

ঋতব্রত বলেন, স্বাধীনতার পরে অনেক রাজ্য, শহরের নাম বদল হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে বাংলার পূর্ব অংশের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। অন্যটি হয় পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে পূর্ব পাকিস্তান বলে কিছু আর নেই। কোনও দিনই পূর্ব বাংলা বা ‘ইস্টবেঙ্গল’ ছিল না। শুধু শতবর্ষ পুরনো ফুটবল একটি ক্লাবের নামে ছিল, আজও আছে। তা বাঙালদের ‘নেভার সে ডাই অ্যাটিচুড’-এর প্রতীক। স্বাধীনতার আগে, পরে বাংলা বারবার স্বৈরতান্ত্রিকদের নিশানা হয়ে এসেছে। ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম রুখতে লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ করেছিলেন। রাজ্যের দশ কোটি মানুষের মতকে সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের নাম বদলাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন