অধিবেশন ছোট কেন, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রী রবিবারের বৈঠকে স্থায়ী কমিটিগুলির প্রশংসা করে বলেন, সেখানে আলোচনায় কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকে না। প্রচার মাধ্যমও দূরে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ছবি: পিটিআই।

গত অধিবেশনের মতো এ বারেও সংসদের দুই কক্ষে ‘দায়িত্বশীল বিরোধী’ দলের ভূমিকা পালন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অর্থাৎ অধিবেশন বানচাল নয়, কৌশলগত ভাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করবেন তৃণমূল সাংসদেরা। আজ সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও এই নীতি নিয়েই চলেছে তৃণমূল।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী রবিবারের বৈঠকে স্থায়ী কমিটিগুলির প্রশংসা করে বলেন, সেখানে আলোচনায় কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকে না। প্রচার মাধ্যমও দূরে থাকে। জবাবে তৃণমূলের এক সাংসদ বলেন, ‘‘সাড়ে তিন বছর মেয়াদ কেটে যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী কমিটির প্রসঙ্গ তুলছেন। এত দিন উনিই কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল এই কমিটিতে আনতে দিতেন না।’’

বৈঠকে বিরোধীদের বক্তব্য পেশ করার অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রত্যেক দিনই বিরোধীদের একটি বিষয় চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ধারায় বলতে দিতে হবে। বৈঠকের পরে সুদীপবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচনী সংস্কার, বেকারত্ব, সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ইত্যাদি নিয়ে আমরা বার বার আলোচনা করতে চেয়েছি। কিন্তু তার কোনও পরিসরই পাওয়া যায়নি। এ বারের অধিবেশনও খুবই অল্প দিনের। বিরতির পরে দ্বিতীয় দফায় সংসদ চালু হলে বিষয়গুলিকে আলোচ্যসূচিতে রাখা হোক।’’

Advertisement

জানুয়ারির ২৯ থেকে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী এই অধিবেশন নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও। বৈঠকের পর তিনি টুইট করে বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের বাট অধিবেশনে মাত্র চারটি কাজের দিন থাকছে। সংসদের অধিবেশন নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথাই নেই।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন