Pahalgam Terror Attack

তার পরেই গুলি চালায় জঙ্গিরা, লোকটাকে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে! পহেলগাঁও-ভিডিয়োর পর্যটক বললেন অভিজ্ঞতার কথা

ভাইরাল ওই ভিডিয়োর সূত্রেই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় চলে এসেছেন ‘পহেলগাঁওয়ের জ়িপলাইন অপারেটর’। যে পর্যটক ওই ভিডিয়ো তুলেছিলেন, তাঁর কথায়, “লোকটাকে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৭
Share:

(বাঁ দিকে) গুজরাতের পর্যটক ঋষি ভাট। জ়িপলাইনের অপারেটর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পহেলগাঁওয়ের একটি ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, জঙ্গি হামলার ঠিক আগে বৈসরন উপত্যকার ‘জ়িপলাইনে’ উঠে ভিডিয়ো তুলছেন এক পর্যটক (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তবে ওই ভিডিয়োর সূত্রেই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় চলে এসেছেন ওই জ়িপলাইনের ‘অপারেটর’। যে পর্যটক ওই ভিডিয়ো তুলেছিলেন, তাঁর নাম ঋষি ভাট। গুজরাতের এই বাসিন্দার দাবি, জ়িপলাইন অপারেটরের আচরণ তাঁর সন্দেহজনক ঠেকেছে।

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লম্বা তার বরাবর এগিয়ে যাচ্ছেন ঋষি। দেশের বহু জায়গাতেই বিনোদনমূলক এই ব্যবস্থাকে ‘জ়িপলাইন’ বলা হয়। তবে ওই ভিডিয়োয় যিনি ‘জ়িপলাইন’ পরিচালনা করছিলেন, সেই কাশ্মীরি যুবককে কিছুটা নিচু স্বরেই নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় বাক্য বলতে শোনা যাচ্ছে। আপাত ভাবে এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। তবে ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ধর্মীয় বাক্য বার তিনেক বলার পরেই জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। সবুজ উপত্যকায় লুটিয়ে পড়ছেন মানুষজন। দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরাও। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই জ়িপলাইন অপারেটরকে তলব করেছে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে নামা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

ঋষি জানিয়েছেন, তিনি জ়িপলাইনে ওঠার আগে আরও ন’জন তাতে উঠে উপত্যকার অপর প্রান্তে গিয়েছিলেন। এই ন’জনের মধ্যে রয়েছেন ঋষির স্ত্রী এবং পুত্রও। কিন্তু সেই সময় নাকি ওই অপারেটরের মুখে ওই ধর্মীয় বাক্য শোনা যায়নি। শোনা যায় ঋষি জ়িপলাইনে ওঠার পর। তিন বার অনুচ্চ স্বরে ওই বাক্য বলার কিছু ক্ষণ পরেই জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এই প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, “উনি কথাটা বললেন। তার পরেই গুলি চলল। ওই লোকটাকে নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।” কেমন দেখতে ছিল লোকটিকে? প্রশ্নের উত্তরে গুজরাতের ওই পর্যটক জানান, আর পাঁচ জন কাশ্মীরি যুবকের মতোই।

Advertisement

কী ভাবে জঙ্গিদের হাত থেকে রেহাই পেলেন, সে কথাও জানিয়েছেন ওই পর্যটক। ঋষির কথায়, “জ়িপলাইনে ওঠার প্রায় ২০ সেকেন্ড পরে বুঝলাম জঙ্গিরা গুলি চালাচ্ছে। জ়িপলাইন অপর প্রান্তে যাওয়ার পরেই গায়ে লাগানো বেল্ট খুলে নীচে ঝাঁপ দিলাম। তার পর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে দৌড় দিলাম।” একটি ঝোপ এলাকায় পরিবারকে নিয়ে প্রায় ২৫ মিনিট লুকিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঋষি। পরে সেনা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ঋষি এ-ও জানিয়েছেন যে, জঙ্গিরা ৮-১০ মিনিট ধরে গুলি চালিয়েছিল। কিছু ক্ষণ বিরতি নিয়ে ফের গুলি চালানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement