অপরাধের তকমা ঘুচেছে। এ বার আইনমাফিক বিয়ে করে সংসার পাতার অধিকার অর্জনের অপেক্ষায় রয়েছেন ওঁরা।
সমকামী সম্পর্ককে অপরাধের তকমা থেকে বের করে এনে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় অনেকের কাছেই নতুন স্বপ্ন নিয়ে এসেছে। সেই স্বপ্নে ভর করেই এ বার বিয়ে করার কথা ভাবছেন ঐশ্বর্যা ঋতুপর্ণা প্রধান। তিনি ওড়িশায় রূপান্তরকামী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রথম আমলা। ঐশ্বর্যার আগে নাম ছিল রতিকান্ত প্রধান। কিন্তু নিজেকে মেয়ে হিসেবে ভাবতেই ভালবাসেন তিনি। ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালত রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তার পরেই রতিকান্ত প্রধান থেকে ঐশ্বর্যা প্রধান হিসেবে পরিচিত হতে চেয়ে আবেদন করেন তিনি। ২০১৭ সালে গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঐশ্বর্যাকে রূপান্তরকামী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ওড়িশা সরকার। এত দিন নিজের প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ঐশ্বর্যা। ৩৭৭ ধারা নিয়ে রায় বেরনোর পরে সমকাম আর অপরাধ নয় এ দেশে। এ বার তাই মাথা উঁচু করে বিয়ে করতে চান ঐশ্বর্যা। বলছেন, এ বার আদালতের উচিত সমকামী বিবাহেও স্বীকৃতি দেওয়া। চিরাচরিত নারী-পুরুষের সম্পর্কের বাইরে এসে রূপান্তরকামী মানুষের আবেগকেও আদালতের মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক আইন তৈরি হলেই প্রিয় মানুষটিকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার ইচ্ছে পূরণ হবে ঐশ্বর্যার। বিয়ের পরেই এক শিশুকন্যাকে দত্তক নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।