Tripura CM

বিপ্লবের নিশানায় মানিক? বিজেপিতে জল্পনা! ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই’, দাবি ত্রিপুরার সভাপতির

গত মার্চে বিধানসভা ভোটের পর ত্রিপুরা বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের অনেক অনুগামী ছাঁটাই হয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

আগরতলা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ১৫:৫০
Share:

বিপ্লব দেব, মানিক সাহা এবং রাজীব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

রবিবার দিল্লি থেকে আগরতলায় ফিরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ‘বোমা ফাটিয়েছিলেন’ তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সেই মন্তব্য ঘিরে সোমবার দিনভর জল্পনা চলছে ত্রিপুরা বিজেপিতে। দলের একাংশের মতে প্রকাশ্যে ‘বহিরাগত নেতাদের’ উদ্দেশে তোপ দাগলেও বিপ্লবের আসল নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’

Advertisement

গত মার্চে বিধানসভা ভোটের পর ত্রিপুরা বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের অনেক অনুগামী ছাঁটাই হয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দিল্লি থেকে আগরতলায় এসে বিপ্লব তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেন, তার পরে বলেন, ‘‘বাইরে থেকে আসা কিছু লোক দলের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। তা বরদাস্ত করা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানান।

বিপ্লব-শিবির সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় পদাধিকারীদের একাংশের মদতে মানিক ত্রিপুরা বিজেপিতে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন। প্রসঙ্গত, বিপ্লব গত আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। অন্য দিকে, একদা কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠ মানিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। পেশায় দন্ত্যচিকিৎসক এই নেতা ২০২০ সালে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন।

Advertisement

২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার অভিযোগ উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের মে মাসে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। বিপ্লবকে পাঠানো হয় রাজ্যসভায়। তার পর থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে জল্পনা দলের অন্দরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন