Captain Amarinder Singh

Amarinder Singh: বান্ধবীর ‘আইএসআই যোগ’! সনিয়ার সঙ্গে ছবি দিয়ে রণংদেহি অমরেন্দ্র শিবির

আইএসআই-এর সঙ্গে আরুশার কোনও যোগাযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে গত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছেন পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুখজেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১১:৪৪
Share:

সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে আরুশার সাক্ষাতের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছে অমরেন্দ্র-শিবির

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ-‘ঘনিষ্ঠ’ পাকিস্তানি সংবাদিক আরুশা আলমের সঙ্গে পাক-গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যোগের অভিযোগ ঘিরে তরজা অব্যাহত পঞ্জাবের রাজনীতিতে। এ বার পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুখজেন্দ্র সিংহ রণধাওয়ার সঙ্গে টুইট-যুদ্ধেও জড়ালেন অমরেন্দ্র। শুধু তাই নয়, পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে আরুশার সাক্ষাতের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছে অমরেন্দ্র-শিবির।
আইএসআই-এর সঙ্গে আরুশার কোনও যোগাযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে গত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছেন সুখজেন্দ্র। পঞ্জাবের ডিজিপি-কে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অমরেন্দ্র বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নজর না দিয়ে একটি ভিত্তিহীন তদন্তের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিজিপি-র উপর। যদিও এই টুইট অমরেন্দ্র নিজে করেননি। করেছেন তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠুকরাল। অমরেন্দ্রর কথা উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, ‘সুখজেন্দ্র এখন ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন। আপনার বড় বড় প্রতিশ্রুতির কী হল? পঞ্জাবের মানুষ তো অপেক্ষা করছেন।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সত্তরের দশকে পাকিস্তানের সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান-ঘনিষ্ঠ অখলিম আখতারের মেয়ে আরুশা। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সাংবাদিক হিসেবে তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। খবর, ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফর থেকে আরুশার সঙ্গে অমরেন্দ্রর পরিচয় ঘটে। তার পর নানা কর্মসূচিতে দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরেন্দ্রর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি অতিথিদের আসনে ছিলেন আরুশা। সেই সব প্রসঙ্গ টেনেই সুখজেন্দ্র বলেন, ‘সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে ছিলেন আরুশা। তাঁর ভিসার মেয়াদও সময় সময় বাড়়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি কেন তাঁর ভিসা বাতিল করেনি? আমরা অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরই কেন তিনি ভারত ছাড়লেন? এই সব বিষয়ই তদন্ত করে দেখা হবে। ক্যাপটেন অমরেন্দ্রকেও এর উত্তর দিতে হবে।’

পাল্টা জবাবে অমরেন্দ্র বলেন, ‘‘আপনি আমার মন্ত্রিসভায় ছিলেন। আপনাকে তো কোনও দিন আরুশার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখিনি। ভারত সরকার অনুমতি দিয়েছে বলেই আরুশা গত ১৬ বছর ধরে ভারতে আসছেন। আপনি কি বলতে চাইছেন, কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ আর এনডিএ দুই সরকারই আইএসআই-কে গোপনে সাহায্য করেছে?’’ সেই সঙ্গে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে আরুশার একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন রবীন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই অমরেন্দ্র জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়ে ২০২২-এর পঞ্জাব বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চান তিনি। অমরেন্দ্রর ওই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন