শোক: প্রিয়জন হারিয়ে কান্না। কর্নাটকের চামরাজনগরে। এপি
প্রসাদ থেকে নিছক বিষক্রিয়া? নাকি নাশকতার জন্যই বিষ মেশানো হয়েছিল মন্দিরের প্রসাদে?
কর্নাটকের চামরাজনগরের কিচ্চু মারাম্মা মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় মন্ত্রীর বক্তব্য এবং মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করার পরে এই প্রশ্নটাই মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
শুক্রবার চামরাজনগরের ওই মন্দিরে প্রসাদ খাওয়ার পরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। শনিবার পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অন্তত ৯৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। রয়েছেন মন্দিরের তিন রাধুনীও। তাঁদের মধ্যে ২৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ এবং চিকিৎসকদের একটি সূত্রের দাবি, প্রসাদের মধ্যে কোনও ভাবে কীটনাশক মিশে থাকতে পারে। অসুস্থদের শরীরে তার লক্ষণও ফুটে উঠেছে। তবে কী ভাবে খাবারে ওই বিষাক্ত পদার্থ ঢুকল, তা জানতে প্রসাদের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের অছি পরিষদের কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে গ্রামবাসীদের একাংশের বিরোধ ছিল। গত কাল মন্দিরে একটি বিশেষ পুজোর পরে ভক্তদের মধ্যে পোলাও বিতরণ করা হয়। সেই প্রসাদ খেয়েই বিপত্তি। নিহতদের মধ্যে দু’টি
শিশুও রয়েছে।
চামরাজনগরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী পুট্টরঙ্গা শেট্টি এ দিন অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে যান। দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলার জেরেই এমন ঘটনা বলে অনুমান মন্ত্রীর। পুট্টরঙ্গা বলেন,‘‘যে দোষী, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ তদন্ত করছে। দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু তো একটা হয়েছেই।’’ ধৃতদের মধ্যে এক জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মন্দির চত্বরে বেশ কিছু পাখিকেও মরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রসাদের বিষেই তাদের এই অবস্থা বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। আক্রান্তদের অনেককেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েক জনকে মহীশূরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। এ দিন অসুস্থদের দেখতে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।