Cheating

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর থেকে হাতিয়েছেন ৬২ লক্ষ টাকা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত দু’ভাই

তরুণীর দাবি, দু’ভাইকে দফায় দফায় মোট ৬২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন ওঙ্কার পাটেকর। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন বন্ধ করে দেন। তাতেই সন্দিহান হয়ে টাকা ফেরত চান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৫৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে আলাপের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক যুবক। তবে সে প্রতিশ্রুতি পালন করার বদলে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ৬২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই যুবক এবং তাঁর দাদা। এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নভি মুম্বইয়ের এক তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৮ মে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রবালে এমআইডিসি থানায় নালিশ জানিয়েছিলেন ৩৫ বছরের এক তরুণী। তদন্তে নেমে ওঙ্কার এবং তাঁর দাদা ভূষণ পাটেকর নামে দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন ওই থানার আধিকারিকেরা।

অভিযোগপত্রে তরুণী জানিয়েছেন, গত বছরের অগস্টে একটি নামকরা ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে ওঙ্কারের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। তরুণীর দাবি, সে সময় নিজেকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদে কর্মরত বলে জাহির করেছিলেন ওঙ্কার। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে কখনও তাঁদের বিয়ের পর বাড়ি কেনার নামে আবার কোনও সময় চিকিৎসার খরচের জন্য দফায় দফায় তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনকি, ওঙ্কারের হয়ে তাঁর দাদা ভূষণও টাকা আদায় করেছেন।

Advertisement

তরুণীর আরও দাবি, দু’ভাইকে মোট ৬২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন ওঙ্কার। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন বন্ধ করে দেন। তাতেই সন্দিহান হয়ে টাকা ফেরত চান। তবে তাঁর ফোন বা মেসেজের উত্তর দেননি ওঙ্কার। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

রবালে এমআইডিসি থানার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে ওঙ্কারের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তেরা কলবা এলাকার বাসিন্দা। তবে সেখানে গিয়ে তাঁদের মায়ের দেখা পেলেও দু’জন অধরাই ছিলেন। অভিযুক্তদের মায়ের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, রবালে এলাকার একটি পানশালায় রয়েছেন তাঁর দুই ছেলে। শেষমেশ সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দু’জনেই স্কুলছুট। নিজেদের আস্তানা দোপন রাখতে বার বার মোবাইল এবং সিম কার্ড বদল করতেন তাঁরা। এর আগেও একাধিক মহিলাকে প্রতারণা করেছেন তাঁরা। তবে ঠিক কত জন মহিলা তাঁদের শিকার হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন