গ্রামে উত্তেজনা। চলছে পুলিশি টহল।
ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ। দিতে অস্বীকার করায় দুই ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সাঁতার না জানায় দু’জনেরই জলে ডুবে মৃত্যু হয়। তাঁদের জলে ডুবতে দেখেও এগিয়ে আসেনি পুলিশকর্মীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে দিলীপ যাদব (২২) ও পঙ্কজ যাদব (২৪) নামে দুই ভাই পাথরবোঝাই ট্র্যাক্টর নিয়ে ফিরছিলেন। পথ আটকায় পাঁচ পুলিশকর্মী। ১২০০ টাকা দিতে বলে। কিন্তু ওই দুই ভাই সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তখন তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটায় পুলিশকর্মীরা। তার পর টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কাছেরই একটি পুকুরে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্থানীয় পুলিশ থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের পাল্টা মারধর করেন। মার ও পাল্টা মারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মৈনপুরীতে। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবারে পুলিশ হেফাজতে কমল বাল্মিকী নামে এক দলিত বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় এমনিতেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কানপুর। ১৫ জন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই ঘটনার জন্য। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই শুক্রবার রাতে মৈনপুরীর ঘটনা যেন ক্ষোভের আঁচে আরও খানিকটা ঘি ঢালল।
সামনেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পুলিশ প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অস্বস্তিতে অখিলেশ সরকার। বিরোধীরাও এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে অখিলেশের প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে তুলে ধরতে মরিয়া। যেমন, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী দাবি করেন, এক জন দলিত পুলিশ হেফাজতে মারা গেলেন, আর কয়েক জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও খবর...