School Students Death

হরিয়ানায় তিন স্কুলপড়ুয়ার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিলেন ‘মত্ত’ পুলিশকর্মী! চাকায় পিষে নিহত দুই

তিন স্কুলপড়ুয়াকে পিষে দেওয়ার পরে ওই পুলিশকর্মী গাড়ি ফেলে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন। এর পরে এলাকাবাসীরাই স্থানীয় থানায় খবর দেন এবং ঘাতক গাড়ির চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫
Share:

হরিয়ানায় পথ দুর্ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশকর্মী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হরিয়ানায় এক পুলিশকর্মীর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই নাবালকের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও এক শিশু। তিন জনেই স্কুলপড়ুয়া। সোমবার বিকেলে হরিয়ানার পালওয়ালে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল তিন ভাই। সেই সময়েই একটি গাড়ি এসে পিষে দেয় তিন জনকে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নরেন্দ্র কুমার নামে এক পুলিশকর্মী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

সোমবার বিকেলে অয়ন (১১), আহসান (৯) এবং তাদের সাত বছর বয়সি ভাই অর্জুন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পুলিশকর্মীর গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অয়ন এবং আহসানের। স্থানীয় বাসিন্দারাই অর্জুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি বেশ জোরেই আসছিল। তিন স্কুলপড়ুয়াকে পিষে দেওয়ার পরে ওই পুলিশকর্মী গাড়ি ফেলে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তা়ড়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন। এর পরে এলাকাবাসীরাই স্থানীয় থানায় খবর দেন এবং ঘাতক গাড়ির চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

পরে নিহত দুই শিশুর বাবা শাহবুদ্দিন স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র নুহ্‌ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপারের দফতরে কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি দুর্ঘটনার সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানাননি তদন্তকারীরা। পুলিশের বক্তব্য, মত্ত অবস্থায় থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।

Advertisement

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই পুলিশকর্মী মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ওই সময় মত্ত অবস্থায় তিনি নিজের উর্দি দেখিয়ে গ্রামবাসীদের ভয় দেখান বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement