জেলে আটক বন্দি। — প্রতীকী চিত্র।
সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই দুই পাকিস্তানি নাগরিক এখনও রয়ে গিয়েছেন ভারতীয় জেলে। তাঁদের ফেরত নিতে চাইছে না পাকিস্তান। এক জনের সাজার মেয়াদ ফুরিয়েছে ২০১৪ সালে। অপর জনের ২০১৮ সালে। কিন্তু তাঁরা যে পাকিস্তানের নাগরিক, তা স্বীকার করতে চাইছে না ইসলামাবাদ। পাকিস্তান তাঁদের ফেরাতে রাজি না-হওয়ায় এখনও তাঁরা তেলঙ্গানার সংশোধনাগারেই আটক রয়েছেন।
তেলঙ্গানার চেরলাপল্লি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ২০১৫ সাল থেকে আটক রয়েছেন ৭২ বছর বয়সি শের আলি কেশওয়ানি। উত্তরপ্রদেশের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অগরার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও চরবৃত্তির মামলায় বেকসুর খালাস হয়েছিলেন কেশওয়ানি। সাজার মেয়াদ পূরণের পর ২০১৫ সাল থেকে তেলঙ্গানার ওই সংশোধনাগারে আটক রয়েছেন তিনি।
অপর এক পাকিস্তানি নাগরিক মহম্মদ নাজ়িরও সাজা সম্পূর্ণ করার পরেও থেকে গিয়েছেন ভারতে। নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। বছর পঞ্চাশের নাজ়ির হায়দরাবাদ থেকে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে তাঁর সাজার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তবে পাকিস্তান তাঁকে ফেরত নিতে চাইছে না। সেই কারণে সাজার মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও ২০১৮ সাল থেকে চঞ্চলগুড়া কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আটক রয়েছেন নাজ়ির।
ওই দুই পাকিস্তানিকে ভারত থেকে বিতাড়নের জন্য তেলঙ্গানা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের দূতাবাসের মারফত যোগাযোগও করেন। তবে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করেননি। তেলঙ্গানার কারা বিভাগের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, সেই কারণে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে ওই দু’জন বিতাড়িত না-হওয়া পর্যন্ত আটক থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপর এক আধিকারিক জানান, ওই দুই পাকিস্তানিকে অনেক বছর ধরে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তান তাঁদের ফেরত নিতে অস্বীকার করছে। তেলঙ্গানায় বন্দি শিবির (ডিটেনশন সেন্টার)-এর অভাব থাকায় তাঁদের জেলেই আটক রাখা হয়েছে।