ফাইল চিত্র।
গোমাংস খাওয়ার অপরাধে দুই বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিয়ানার মেওয়াটে। নির্যাতিতাদের মধ্যে এক জন বলেন, “আমরা গোমাংস খাই কি না জিজ্ঞাসা করেছিল দুষ্কৃতীরা। বলেছিলাম,খাই না। কিন্তু তারা তা শোনেনি।”
যদিও পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা কেউই এ বিষয়ে আগে কোনও অভিযোগ করেনি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে গোরক্ষকদের কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত ২৪ অগস্ট মেওয়াটে নিজেদের বাড়িতেই গণধর্ষিত হয়েছিলেন ওই দুই বোন। তাঁদের কাকা-কাকীমাকেও দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করে। এই ঘটনায় ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে।
ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে নির্যাতিতা দুই বোন দাবি করেন গোমাংস খাওয়ার অপরাধে তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ।
গত কয়েক মাস ধরে গরু পাচারকারী সন্দেহে মেওয়াটে গোরক্ষকদের মারধর করছিল। যেমন গত জুনেই গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক লরি চালককে বেধড়ক মারে গোরক্ষকরা। মেওয়াটে হাইওয়ের ধারে কয়েকটি ধাবায় বিরিয়ানি গোমাংস দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ওই ধাবাগুলিতে তল্লাশি অভিযানও চালায়।
গোমাংস নিয়ে ইদের আগে একটা চাপা উত্তেজনা চলছে মেওয়াটে। পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবে বিগড়ে না যায়, সে দিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন।
গোহত্যা, গোমাংস সংরক্ষণ এবং বিক্রি করা— সব বিষয়ই হরিয়ানাতে কঠোর ভাবে বেআইনি। ধরা পড়লে দশ বছরের জেল, এমনকী ১-৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ রয়েছে।
আরও খবর...