Migrant Labours

রুপো চুরির অভিযোগে বাংলার দুই শ্রমিককে পিটিয়ে খুন গুজরাতের কারখানায়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ওই কারখানার তরফে ১০৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। জানানো হয়, দুই শ্রমিক জ্ঞান হারিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

রাজকোট শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৮
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

রুপো চুরির অভিযোগে বাংলার দুই পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর। শেষমেশ মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের। গুজরাতের রাজকোটের থোরালা এলাকার ঘটনা। মৃতদের নাম রাহুল শেখ (২৫) এবং মিনু শেখ (২৬)। তবে ওই দু’জনের বাড়ি এ রাজ্যের কোথায় তা শনিবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

Advertisement

এই ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। কারখানার মালিক সাগর সাভালিয়া, ম্যানেজার বিপুল মোলিয়া, দুই কর্মী হিমালয়, ধবলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তন্ময় এবং প্রদীপ নামে দুই ঠিকাদারকেও আটক করা হয়েছে, যাঁরা কারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগ করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ওই কারখানার তরফে ১০৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। জানানো হয়, দুই শ্রমিক জ্ঞান হারিয়েছেন। অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা এসে পরীক্ষা করে দেখেন, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের শরীরে অনেক ক্ষতচিহ্ন ছিল। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ওই কারখানা থেকে ৩ কেজি রুপো খোয়া গিয়েছে। কারখানায় ২৫ জন কর্মী কাজ করেন। তাঁদের উপর নজরদারি শুরু করেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দাবি, তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাহুলের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম রুপো উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, টাকার প্রয়োজন ছিল বলে রুপো চুরি করেছিলেন। ওই রুপো তাঁকে বাজারে বিক্রি করতে মিনু সাহায্য করেছেন। মিনু ওই কারখানায় কাজ করেন না। এর পরেই রাহুলকে দিয়ে ফোন করিয়ে মিনুকে ডেকে পাঠানো হয়। দু’জনকে কারখানার উপরের তলায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। পরের দিন সকালে ঘরের দরজা খুলে দেখা যায়, দু’জনেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এর পরেই অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত এক জন জানিয়েছেন, সাত মাস আগে চুরির অভিযোগে ওই কারখানা থেকে চাকরি গিয়েছিল রাহুলের। ১০ দিন আগে ফের তাঁকে নিয়োগ করা হয় ওই কারখানায়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এসভি পারমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দু’জনের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও শ্রমিকের হাত রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন