—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে আবার মাওবাদী দমনে সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বুধবার বিজাপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হল দুই মহিলা-সহ ছ’জনকে। তাঁরা সকলেই নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) ও তার শাখাগুলির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
ধৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বিজাপুর পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুলাই থেকে বস্তারের অবুঝমাঢ় অরণ্য জুড়ে ‘শহিদ সপ্তাহ’ পালন শুরু করেছে মাওবাদীরা। এই সময়টাতে তারা বিশেষ ভাবে যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালানোর জন্য বেছে নেয়। ধৃতেরা সম্ভবত তেমনই কোনও নাশকতার পরিকল্পনায় বাসাগুদা থানার অন্তর্গত ধর্মপুর গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলে এসেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’ এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের মাথার দাম ছিল দু’লক্ষ টাকা করে।
গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। এ বছর ইতিমধ্যেই সে সংখ্যা ছাপিয়ে যেতে চলেছে। পাশাপাশি, যৌথবাহিনীর অভিযানে সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু, পলিটব্যুরো সদস্য চলপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নর সিংহচলম ওরফে সুধাকরের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে একদা ‘রেড করিডর’ বস্তারে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাওবাদীরা।