পাঠ্যক্রমের অনুমোদন নেই, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরা

ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘উদাসীনতায়’ শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্‌ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। ২০১২ সালে ওই বিভাগে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু হয়। ইতিমধ্যেই দু’বছরের ওই পাঠ্যক্রমে ১২ জন ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। কয়েক মাসের মধ্যে পরের পর্যায়ের ২০ জন পড়ুয়া চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে চলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৪
Share:

ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘উদাসীনতায়’ শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্‌ প্রশ্নচিহ্নের মুখে।

Advertisement

২০১২ সালে ওই বিভাগে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু হয়। ইতিমধ্যেই দু’বছরের ওই পাঠ্যক্রমে ১২ জন ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। কয়েক মাসের মধ্যে পরের পর্যায়ের ২০ জন পড়ুয়া চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। এমনই পরিস্থিতিতে তাঁরা জেনেছেন, শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন’-এর অনুমোদন সংগ্রহ করেননি ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদনহীন ওই পাঠ্যক্রমে ২০১২ সাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয়েছে। তার জেরে ওই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বৈধ হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন ছাত্রছাত্রীরা। পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের কয়েক জন জানিয়েছেন, এ সবের জেরে তাঁদের অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। কয়েক মাসের মধ্যে যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদেরও ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।

ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ওঙ্কারসাধন অধিকারী এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি অনুমোদিত হওয়ায় ধরে নেওয়া হয়েছিল, শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। ২০১৪ সালে সেই ভুল ভাঙে।’’

Advertisement

তত দিনে কয়েক জন পড়ুয়ার চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তার পরও কেন প্রয়োজনীয় সেই অনুমোদন নেওয়া হল না? ওঙ্কারসাধনবাবু বলেন, ‘‘সেই আবেদন করা হয়েছে।’’ কিন্তু এনসিটিই-র তরফে এখনও অনুমোদন না আসায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

পড়ুয়াদের এই হয়রানির দায় কার? ওঙ্কারসাধনবাবু বলেছেন, ‘‘ওঁদের সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয় বুঝতে পারছে। রাষ্ট্রপতি থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী— সবার কাছেই এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে এনসিটিই কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।’’ তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে শারীরশিক্ষার স্নাতকোত্তর বিভাগে ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন