National News

সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে ছোটা রাজনের যাবজ্জীবন

মুম্বইয়ে মোকা আদালত আজ ছোটা রাজন, শ্যুটার সতীশ কালিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন জিগ্না ভোরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৮ ১২:১৪
Share:

জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছোটা রাজন।

দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার প্রায় সাত বছর পর সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। ২০১১ সালে এই খুনের ঘটনায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা রাজন, শুটার সতীশ কালিয়া-সহ মোট ন’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাদের প্রত্যেককেই যাবজ্জীন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় এশিয়ান এজের প্রাক্তন ব্যুরো চিফ জিগ্না ভোরা সহ মোট ১৩ জনের নাম জড়িয়েছিল। তবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন জিগ্না ভোরা সহ দু’জন। বাকিদের মধ্যে এক জন এখনও ফেরার। মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে অন্য জনের।

Advertisement

দিনটা ২০১১সালের ১১ জুন। মুম্বইয়ের পাওয়াইয়ে রাস্তার উপরেই গুলি করে মারা হয় বছর ছাপ্পানোর সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-কে। সে সময় জ্যোতির্ময় নিজের মোটর বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, বেশ খানিকক্ষণ নজরে রাখার পর তাঁর উপর গুলি চালানো হয়েছিল। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু কেন এমন হত্যা? পুলিশেরএকাংশের ধারণা ছিল, এশিয়ান এজের প্রাক্তন ব্যুরো চিফ জিগ্না ভোরার সঙ্গে পেশাদারি গণ্ডগোলের জেরেইখুন হয়েছেন জ্যোতির্ময়। হত্যাকাণ্ডের তিন মাসের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ২০১৫ সালে ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় ভারতে। ছোটা রাজন নাকি ভেবেছিল, তাকে মারার জন্য ‘ক্রাইম জার্নালিস্ট’ জ্যোতির্ময় দে অপরাধ জগতের ‘বেতাজ বাদশা’ দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআিইয়ের দাবি, জ্যোতির্ময়কে হত্যা করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার সুপাড়ি দিয়েছিল ছোটা রাজন। যার মধ্যে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয় অগ্রিম হিসেবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নেপালে ভারতীয় দূতাবাসে বিস্ফোরণ: দিল্লি থেকে ধৃত মাওবাদী নেতা

আরও পড়ুন: কাঠুয়াকাণ্ড ‘ছোট্ট ব্যাপার’, কাশ্মীরে শপথ নিয়েই বললেন বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী

প্রমাণে অভাবে এ দিন জিগ্না ভোরা খালাস পেয়েছেন ঠিকই। কিন্ত রেহাই মিলল না ‘দাউদের দুশমন’ বলে পরিচিত ছোটা রাজনের। ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রত্যার্পণের পর থেকেই তিহাড় জেলে রয়েছে ছোটা রাজন। জানা গিয়েছে, আজকের রায়ের বিরুদ্ধে ছোটা রাজনের তরফ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন