বাহারি স্বাদের দিক থেকে ‘সৃজনশীল শহর’ হিসাবে লখনউকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। —ফাইল চিত্র।
ইউনেস্কো স্বীকৃত ‘বাহারি স্বাদের শহরে’র তালিকায় এ বার জায়গা করে নিল উত্তরপ্রদেশের লখনউ। সম্প্রতি বিশ্বের ৫৮টি শহরকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো। এর মধ্যে রয়েছে লখনউও। বাহারি স্বাদের দিক থেকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় জায়গা পেয়েছে নবাবের শহর লখনউ।
গত ৩০ অক্টোবর ওই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো। এই নিয়ে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের ৪০৮টি শহর ইউনেস্কোর ‘সৃজনশীল শহর’-এর তকমা পেল। ইউনেস্কোয় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধিদলের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ভারতের জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। লখউনয়ের রান্নার ঐতিহ্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল।
এর আগে হায়দরাবাদকে বাহারি স্বাদের শহর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল লখনউও। রাস্তার ধারে বিভিন্ন পুরনো রেস্তরাঁর ‘চাট’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কবাব এবং আওয়াধি খাবারের জন্য বিখ্যাত লখনউ। ইউনেস্কোর ঘোষিত নতুন ৫৮টি শহরের মধ্যে বাহারি খাবারের জন্য লখনউ ছাড়া সৃজনশীলতার তকমা পেয়েছে পর্তুগালের মাতোসিনহোস এবং ইকুয়েডরের কুয়েনকা শহর। সঙ্গীতের জন্য সৃজনশীলতার স্বীকৃতি পেয়েছে কেনিয়ার কিসুমু এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ অরলিন্স। নকশায় সৃজনশীলতার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে সৌদি আরবের রিয়াধ। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের জন্য মিশরের গিজ়া এবং স্থাপত্যের জন্য ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমিও সৃজনশীল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে।
লখনউয়ের এই নতুন স্বীকৃতির পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘লখনউ মানে এক প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, যার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে রন্ধন-সংক্রান্ত এক দুর্দান্ত সংস্কৃতি। লখনউয়ের এই বিষয়টিরে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি আনন্দিত।’’ বিশ্ববাসীকে লখনউয়ে ঘুরতে আসার জন্যও আহ্বান জানান মোদী।