Bangladeshi Infiltration

প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে আমরা দেশ থেকে তাড়াব! বিহারে গিয়ে হুঁশিয়ারি শাহের, খোঁচা ‘ভোট চুরি’ তত্ত্ব নিয়েও

শাহের দাবি, বিরোধী দলগুলি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ‘অনুপ্রবেশ করিডর’ তৈরির চেষ্টা করছে। বিহারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ শাহের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৬
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার বিহারে ভোটের প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। — ফাইল চিত্র।

অনুপ্রবেশে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ফের কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে রবিবার সাসারাম এবং আরওয়ালে প্রচারসভা সারেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতেই রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবেরা বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছেন।

Advertisement

বিহারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ শাহের। ভোটের প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি রাহুল ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছেন। বিহারের দরিদ্র, দলিত এবং অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা এর লক্ষ্য নয়। এই কর্মসূচির লক্ষ্য অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানো।”

প্রচারসভা থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিল্লি বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন শাহ। সেখান থেকেই তিনি বলেন, “রাহুল যত যাত্রা বার করতে পারেন করুন। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে পারবেন না। প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে আমরা বেছে বেছে (দেশ থেকে) বার করে দেব। ওরা (বিরোধীরা) আমাদের দেশের তরুণদের বদলে বাংলাদেশিদের রক্ষা করতে বেশি তৎপর।”

Advertisement

রাহুল-তেজস্বীদের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দেন শাহ। সাসারামে শাসক জোটের প্রচারসভা থেকে শাহ বলেন, “বিহারে কি কোনও অনুপ্রবেশকারীর থাকা উচিত? এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের তরুণদের থেকে কর্মসংস্থান ছিনিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা আমাদের দেশের দরিদ্রদের রেশন নিয়ে নিচ্ছেন এবং দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছেন।”

শাহের দাবি, বিরোধী দলগুলি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ‘অনুপ্রবেশ করিডর’ তৈরির চেষ্টা করছে। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে ‘শিল্প করিডর’ তৈরির চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি। রাহুল যে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলছেন, তা নিয়েও কংগ্রেস এবং আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’ (‘ইন্ডিয়া’য় বিহারের শরিক দলগুলির জোট এই নামেই পরিচিত) শিবিরকে খোঁচা দেন শাহ। রাহুলকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, “যদি তিনি মনে করেন ‘ভোট চুরি’ হয়েছে, তা হলে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন সেই অভিযোগ জানাচ্ছেন না?” শাহের বক্তব্য, যাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে বলে রাহুল দাবি করছেন, তাঁরা আসলে অনুপ্রবেশকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement