union minister

Odisha: ফাইল না আনার ‘অপরাধে’ ২ অফিসারকে চেয়ার তুলে মার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর! ভাঙল এক জনের হাত

বীরেশ্বর জলশক্তি এবং উপজাতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের সাংসদ। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৫
Share:

মন্ত্রী বীরেশ্বর টুডুর (বাঁ দিকে) বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ।

নির্দিষ্ট কয়েকটি ফাইল না আনার ‘অপরাধে’ দুই সরকারি আধিকারিককে নিজের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে চেয়ার দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেশ্বর টুডুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বারিপদায়।

বীরেশ্বর জলশক্তি এবং উপজাতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে সাংসদ। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Advertisement

বারিপদায় দলীয় কার্যালয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করেন মন্ত্রী। ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট-এর যুগ্ম অধিকর্তা অশ্বিনী কুমার মল্লিক এবং সহঅধিকর্তা দেবাশিস মহাপাত্রকে ওই কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তিনি। অভিযোগ, পর্যালোচনা বৈঠকের সময় প্রয়োজনীয় ফাইল না পেয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বীরেশ্বর। দুই আধিকারিকের কাছে জানতে চান ফাইল কেন আনা হয়নি। এর পরই কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দুই আধিকারিককে মারধর করেন এমনকি চেয়ার দিয়েও আঘাত করা হয়।

এই ঘটনায় সহঅধিকর্তার হাত ভেঙে যায় এবং যুগ্ম অধিকর্তার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। দু’জনকেই বারিপদার পিআরএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুই আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বারিপদা টাউন থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ২৯৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

সর্বভারতীয় এর সংবাদমাধ্যমকে আধিকারিক দেবাশিস বলেন, “মন্ত্রী বলেন আমরা প্রোটোকল ভেঙেছি। আমরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়েছে তাই আনা সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি তাতে রেগে যান এবং আমাদের মারধর করতে শুরু করেন।”

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। পাল্টা তিনি বলেন, “ওঁরা দু’জনে আমার কাছে এসেছিলেন। আমরা আধঘণ্টা আলোচনা করি। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ৭ কোটি টাকা কী ভাবে খরচ করা হয়েছে তার ফাইল আনতে বলেছিলাম ওঁদের। কিন্তু ওঁরা এখন আমার বিরুদ্ধেই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। যদি আমি ওঁদের মারতাম, তা হলে আমার কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরা সম্ভব হত না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন