National news

ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে মাল্যের মতো স্মার্ট হোন! আদিবাসীদের ‘পরামর্শ’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

ওই পরামর্শদাতা হলেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী জুয়েল ওরম। শুক্রবার হায়দরাবাদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি সভায় এই নিদান দেন ওই মন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ১১:৩০
Share:

বিজয় মাল্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরম। —ফাইল চিত্র।

ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৯০০০ কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে চম্পট দিয়েছেন যিনি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তাঁর মতোই স্মার্ট হওয়ার পরামর্শ দিলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! চম্পট দেওয়া ওই ব্যবসায়ী ‘লিকার ব্যারন’ বিজয় মাল্য। স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ভারতের ১৩টি ব্যাঙ্ক যাঁর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি মামলা চালাচ্ছে। আর ওই পরামর্শদাতা হলেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী জুয়েল ওরম। শুক্রবার হায়দরাবাদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি সভায় এই নিদান দেন ওই মন্ত্রী।

Advertisement

২০১৬ সাল থেকেই দেশছাড়া বিজয় মাল্য। ঘাঁটি গেড়েছেন লন্ডনে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্ষতিপূরণ চেয়ে ব্রিটেনের আদালতে স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ভারতের ১৩টি ব্যাঙ্ক মামলাও করেছে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই যাঁকে ব্যাঙ্ক প্রতারণার ‘পোস্টার বয়’ হিসাবে দেখে, সেই সরকারেরই এক মন্ত্রীর চোখে তিনি স্মার্ট! ব্যাঙ্কারদের জন্য, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এমনকি দেশের সরকারের জন্যও অনেক কিছু করেছেন! হায়দরাবাদে উদ‌্‌যাপিত জাতীয় আদিবাসী উদ্যোক্তা সম্মেলনে ঠিক এমনটাই বললেন ওই মন্ত্রী।

উপস্থিত অন্তত ১০০০ জন আদিবাসী মানুষের সামনে বক্তব্য রাখেন জুয়েল। উদ্দেশ্য ছিল, আদিবাসীদের উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তাঁদের আধুনিক সমাজের সমান্তরালে তুলে আনা। উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গিয়েই বিজয় মাল্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা বিজয় মাল্যের সমালোচনা করেন। কিন্তু বিজয় মাল্য কে জানেন? তিনি স্মার্ট। অনেক বুদ্ধিমান মানুষকে চাকরি দিয়েছেন তিনি। এখানে ব্যাঙ্কারদের জন্য, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য, দেশের সরকারের জন্য অনেক করেছেন তিনি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদী-অমিত চান, কিন্তু গদি ছাড়তে নারাজ বসুন্ধরা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান তফশিলী জাতি-উপজাতিরা নিজেদের এমন জায়গায় নিয়ে যান যাতে চাকরিপ্রার্থীর বদলে চাকরিদাতা হয়ে ওঠেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে সমস্ত তফশিলীদের এই জায়গায় নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। তার জন্য প্রচুর স্কিমও আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, জানান তিনি। এর সঙ্গে যুক্ত করেন, ‘‘স্মার্ট হতে আপনাদের কে নিষেধ করেছে? সিস্টেমে নিজেদের প্রভাব খাটাতে আদিবাসীদের কে বারণ করেছে? কে বারণ করেছে ব্যাঙ্কারদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে?’’ তাঁর বক্তব্যের শেষ লাইনগুলো প্রশংসনীয় হলেও তীব্র সমালোচনা চলছে বিজয় মাল্য প্রসঙ্গ নিয়ে। শনিবার তিনি ভুল স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘‘ভুল করে বিজয় মাল্যের নাম বলে ফেলেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন