‘নকল সোনা’ বেচার এই জাল ছড়িয়েছে দেশে। ছবি: সংগৃহীত।
চাপা গলায় ফোন, ‘একটা সোনার মূর্তি বা প্রাচীন সোনার নৌকো মাটি খুঁড়তে গিয়ে উঠেছে। কথাটা পাঁচকান করতে পারছি না। আপনার কথা অমুক ব্যক্তি আমায় বলেছেন। দয়া করে জলের দরে সোনার জিনিসটা কিনে আমায় দায়মুক্ত করুন।’
ফোনেই পাতা ফাঁদ। আর তাতে পা দিলেই হাজার থেকে লক্ষ টাকার লোকসান বাঁধা। প্রাচীন যে সোনার জিনিসটি গছিয়ে দিয়ে পালায় প্রতারকেরা তা আদতে পিতল বা অন্য কোনও ধাতুর। কয়েক বছর ধরেই অসম, বিশেষ করে উজানি অসমে একটি বিরাট চক্র সক্রিয়। গুয়াহাটি, শিলং, অরুণাচল ছাড়াও কলকাতা, এমনকী দক্ষিণ ভারতেও ‘নকল সোনা’ বেচার এই জাল ছড়িয়েছে। লখিমপুর, শোণিতপুরে এমন অনেককেই গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ।
লখিমপুরের শরিফুল ইসলাম ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার এক জনকে নকল সোনার নৌকা বিক্রি করে। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গেও ওই চক্রের যোগ আছে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে প্রতারকেরা নকল সোনার মূর্তি গছিয়ে পালানোর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সেখানে হাজির হয়। চোরাই মূর্তি পাচারের দায়ে প্রতারিত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ এসেছে।