Coromandel Express

বিপর্যয় কাটিয়ে বাজল আপ করমণ্ডল ছাড়ার হর্ন, কামরায় কামরায় শুক্রসন্ধ্যার আলোচনা

ডাউন লাইনে করমণ্ডলের পরিষেবা অবশ্য চালু রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার শালিমার স্টেশনে পৌঁছেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল দুর্ঘটনার অনতিবিলম্বে শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শালিমার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৫:২৯
Share:

শালিমার স্টেশনে যাত্রা শুরুর আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।

৫ দিন পর আবার গড়াল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চাকা। বুধবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়ল ৬ মিনিট দেরিতে। গন্তব্য চেন্নাই। যাত্রাপথে ছুঁয়ে যাবে শুক্রবারের সেই বালেশ্বরের অদূরে বাহানগা বাজার স্টেশন।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সময় যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে মৃত নিহত এবং আহতের সংখ্যা। বুধবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা এসে ঠেকেছে ২৮৮-তে। উদ্ধারকাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল রেললাইন ঠিক করার কাজ। মঙ্গলবারই রেল ঘোষণা করে আবার চলবে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর, বুধবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার থেকে ছাড়বে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

ঘোষণামাফিক বুধবার দুপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছেড়েছে দুপুরে। তবে ৬ মিনিট দেরি হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে শুক্রবারের ঘটনারই আলোচনা শোনা গিয়েছে। ট্রেন যখন ছাড়ল কেউ কেউ চাপা উত্তেজনায় তাকালেন জানলার বাইরে। তেমনই এক প্রৌঢ় চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কী করব, কাজের জন্য যেতে তো হবেই। ভগবান ভরসা।’’

Advertisement

বালেশ্বরের অদূরে বাহানগার দুর্ঘটনাস্থল পেরোবে সন্ধ্যার সময়ে। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধরি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘রেলপথ সারাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। আগের রুট ধরেই এগিয়ে যাবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।’’

ডাউন লাইনে করমণ্ডলের পরিষেবা অবশ্য চালু ছিল। রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার শালিমার স্টেশনে পৌঁছেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার রেল দুর্ঘটনার অনতিবিলম্বে শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। শনিবার থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছিল রেললাইন উদ্ধারের কাজ। কারণ, ওই গুরুত্বপূর্ণ রুটে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয় সংশ্লিষ্ট লাইনে। রবিবার সময় তখন রাত ১০টা ৪০ মিনিট। প্রায় এক ঘণ্টা বাদে রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। তবে আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রবিবারই রাত ১২টা ৫ মিনিটে। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রেলপথে ছুটে গিয়েছে একাধিক ট্রেন। সোমবার গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার পরে আপ লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসও। সোমবারই ওই লাইন দিয়ে ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু বালেশ্বরের কাছে ট্রেনের গতি ছিল কম। যে হেতু সদ্য রেলপথ মেরামত হয়েছে, তাই ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনগুলির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মোটামুটি ১০ কিলোমিটার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন