পোড় খাওয়া প্রতিপক্ষকে ঘোল খাওয়াতে মাঠে নামলেন দুই নবীন। এক নবীনের ‘সাইকেল’-এ আর এক নবীনের ‘হাত’। দাবি, এতেই গড়গড়িয়ে চলবে উত্তরপ্রদেশের উন্নতির চাকা। উত্তরপ্রদেশে জোট গঠন করার পর আজ, রবিবার প্রথম বারের জন্য যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন অখিলেশ-রাহুল। সেখানেই জোটের পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশকে তাঁদের যৌথ বার্তা, নতুন জোট বিশেষ গুরুত্ব দেবে উত্তরপ্রদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য উন্নয়নে।
রাহুল বলেন, এই জোট উত্তরপ্রদেশের যুবকদের সামনে অন্য রাজনীতি তুলে ধরবে। যেখানে হিংসার কোনও জায়গা থাকবে না। জোটের হাত ধরেই উন্নতি, সমৃদ্ধি আর শান্তির প্রতীক হয়ে উঠবে উত্তরপ্রদেশ। জোটের সুফল কী কী হতে পারে তার নানা দিক তুলে ধরার সঙ্গে মোদীর নোট বাতিল সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাবের কথাও মানুষকে মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। মোদীর মন কি বাতের ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন।
এত দিন উত্তরপ্রদেশ নিয়ে কংগ্রেসের স্লোগান ছিল ‘২৭ সাল, ইউপি বেহাল’। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে এক সাংবাদিক রাহুলকে প্রশ্ন করেন, তা হলে তিনি কেন সপার সঙ্গে জোট করলেন? তার উত্তরে রাহুলের মুখে অখিলেশের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম অখিলেশ ভাল কাজ করেন। কিন্তু তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হত না। এ বার সেই সুযোগটা পাওয়া যাবে। আমাদের জোটে উত্তরপ্রদেশের উন্নতি হবে’’। আর অখিলেশ বলেন, ‘‘আমরা একে অপরকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম। এ বার একসঙ্গে কাজও করতে পারব তা ভেবেই ভাল লাগছে।’’ তবে তাঁদের পরবর্তী প্রচারকৌশল কী হবে, দীর্ঘদিন ধরে মুলায়ম সিংহের সঙ্গে সনিয়া গাঁধীকে প্রচারে দেখা যাওয়ার যে জল্পনা চলছে তা বাস্তবায়িত হবে কি না, এর কোনওটাই এ দিন খোলসা করেননি রাহুল, অখিলেশ কেউই।